মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীরা এখন দোকানের সামনে ও ফুটপাথে বসে সময় কাটাচ্ছেন। করোনার কারণে সব দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎবিল, কর্মচারীর বেতন- কোনোটাই বন্ধ হয়নি। তাই দোকানের সার্টার অর্ধেক বন্ধ বা সম্পূর্ণটাই বন্ধ করে দোকানের সামনে অথবা ফুটপাথে খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। দেখে বোঝার উপায় নেই এরাই মানিকগঞ্জের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে প্রতিটি দোকানে খদ্দেরের ভিড় লেগে থাকত। এখন তারা একটি খদ্দেরের জন্য তীর্থের কাকের মতো ফুটপাথে অপেক্ষায় থাকেন। কঠোর লকডাউন ঘোষণায় শহরের সব শপিংমল, বড় বড় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহীদ রফিক সড়কের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, আমার দোকানে ছয়জন কর্মচারী। তারা সবাই আমার ওপর নির্ভরশীল। আর আমি নির্ভরশীল দোকানের ওপর। এক দিন দোকান বন্ধ থাকলে চলা কঠিন। করোনার কারণে বছরজুরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দোকানের সার্টার বন্ধ করে বসে থাকি যদি একটি লোক আসে। ১ হাজার টাকা বিক্রি হলেও বাজার-সদাই, ওষুধ কিনতে পারব। তিনি আরও বলেন, মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে বলে নাম বললাম না, মনে হয় মাইক নিয়ে সবাইকে সমস্যার কথা জানাই। আরেক রেডিমেট গার্মেন্ট দোকানের মালিক বলেন, দোকান বাদ দিয়ে রাস্তায় বসে থাকি। শুধু একটি খদ্দেরের জন্য। হঠাৎ কেউ এলে যা বিক্রি হয় তা দিয়েই বাজার করি। কর্মচারীরা বলেন, দোকান বন্ধ, ব্যবসা নেই, মালিকরা বেতন দেবে কোত্থেকে। শহর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুদ্দিন রেজা বলেন, করোনার কারণে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ব্যবসা বন্ধ থাকায় তারা খুব অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন। চক্ষুলজ্জায় কিছু বলতে পারছেন না। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করে সরকারের কাছে সহযোগিতার দাবি করেন।