মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া সড়কের জান্নায় মাত্র ১০০ ফুট জায়গায় কাজ না করায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন চলাচলকারীরা। প্রতিদিন এ জায়গায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অগণিত মানুষ। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটুকু ঠিক করা হচ্ছে না। লোকজন এখন বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচল করেন। কবে এ রাস্তা ঠিক হবে জানেন না। একটু বৃষ্টি নামলে বোঝার উপায় থাকে না এটি রাস্তা নাকি জলাশয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ রাস্তাটি এ জায়গার জন্য সুফল পাচ্ছে না মানুষ। স্থানীয় আবদুস সালাম ও আবদুল আজিজ বলেন, ‘সারা দিন এখানে দোকানদারি করি। মানুষের ভোগান্তি বলে বোঝানো যাবে না। রিকশা, টেম্পো, হ্যালোবাইক, মোটরসাইকেলসহ যানবাহনের যাত্রী নামিয়ে দিয়ে এ রাস্তাটুকু চলতে হয়। প্রতিদিন এখানে গাড়ি আটকে যায়। পরে চেন দিয়ে টেনে সরাতে হয়।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিজীবী বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়েই উপজেলার সব প্রশাসনের লোকজন চলাচল করেন তারা কিছুই বলেন না। তাই ঠিকাদার কাজ না করে বসে আছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার লোকজন ফুঁসে উঠছেন যে কোনো সময় ঝামেলা হতে পারে।’ সরেজমিন দেখা যায়, লোকজন রিকশা, টেম্পো, মোটরসাইকেল থেকে নেমে বিকল্প রাস্তা দিয়ে পার হন। এখানে এলেই যানবাহন কাঁদায় আটকে যায়। পথচারীদের একটিই কথা- এ রাস্তা ঠিক হবে তো? স্থানীয় ফুকুরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘ঠিকাদারের খামখেয়ালির জন্য জনগনের এ দুর্ভোগ।’ এ রাস্তায় চলাচলকারী সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ ফটো বলেন, ‘সাটুরিয়া উপজেলায় গোলড়া বালিয়াটি রাস্তা উন্নয়নের জন্য আমাদের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছেন। বারবার বলার পরও ঠিকাদার কাজ করছেন না। এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’ ঠিকাদার খোরশেদুজ্জামান বলেন, অতি সম্প্রতি রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। শুধু খানাখন্দে ভরা এ জায়গাটুকু অবশিষ্ট আছে। জায়গা নিয়ে ঝামেলার জন্য কাজ বন্ধ রয়েছে। আজ (সোমবার) এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অফিসে সমন্বয় কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় এ রাস্তার সমস্যাবলি সমাধানের বিষয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।