একটি সেতুর জন্য হাহাকার থামছে না হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের খলিলপুর এলাবাসীর। দীর্ঘ ৬০ বছরেও চলাচলের উপযোগী একটি সেতু কিংবা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হয়নি খলিলপুর-যাত্রাপুর এলাকার ইছামতি নদীর ওপর। খলিলপুর এলাকার লোকজন জানান প্রায় ৬০ বছর ধরে উত্তর পাড়ের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙাচুরা সেতু দিয়ে এই ছোট্ট নদীটি পাড় হয়। স্থানীয় আয়শা বেগম বলেন, আমাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায় এই ভাঙা সেতু পার হয়ে। যতক্ষণ স্কুল থেকে ফিরে না আসে ততক্ষণ রাস্তার দিকে চেয়ে থাকি। আমার বাবার বাড়ি কালিয়াকৈর। বিয়ের সময় এক বাঁশের সাঁকো ছিল। পড়ে যাওয়ার ভয়ে আমার বাবা আমারে দেখতে আসত না। স্থানীয় আজাদ বেপারী ও বাদল মোল্লা বলেন, এক সময় এই ইছামতি নদীতে অনেক পানি ও স্রোত থাকত। তখন এখানে খেয়া পারাপার ছিল। পরে নদীর উজানে বাঁধ দেওয়ায় এখানে এক বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এরপর প্রায় ১০ বছর আগে সিমেন্টের খুঁটির ওপর কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়েছে। দুই বছর যেতে না যেতেই তা ভেঙে পড়েছে। এরপর বাঁশের জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এ এলাকার বাসিন্দা ও বিচারপতি নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী পশ্চিম খলিলপুর গ্রামের সোমাইয়া ছিদ্দিকা ও লাবণী আক্তার বলেন তারা ভয়ে ভয়ে ভাঙা সেতু পাড় হয়ে স্কুলে পড়েছেন। এখনো ভয় নিয়েই কলেজে যাতায়াত করছেন। সারা জীবন কি ভয় নিয়েই চলতে হবে। নদীর উত্তর পাড়ের নিজাম উদ্দিন জানান নদীর দক্ষিণ পারেই যাত্রাপুর হাইস্কুল, মাঠ, বাজার, বিচারপতি নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।