সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি

অভিভাবক চিন্তিত বকেয়া বেতন নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতিতে রংপুর অঞ্চলে এসএসসি পরীক্ষা প্রত্যাশী ২ লাখসহ ৮ লাখের ওপর শিক্ষার্থীর মধ্যে আনন্দের ঝিলিক দেখা দিয়েছে। কিন্তু বকেয়া বেতন নিয়ে অভিভাবকদের কপালে দেখা গেছে চিন্তার ছাপ। করোনার কারণে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিগত দিনের সব বেতন পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন অভিভাবকদের। অথচ শিক্ষা অফিস বলছে মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র টিউশন ফি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ওই নির্দেশ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই মানছে না। রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে ৭১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৮ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনাকালীন বন্ধ সময়ের বিভিন্ন ফি’র জন্য অভিভাবকদের চাপ দিচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে এমনিতে অনেক অভিভাবকের আয় কমে গেছে। অনেকে বেকার হয়ে গেছেন। তার ওপর সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হলে পুরো বেতনসহ অন্যান্য ফি নেওয়া হলে তাদের ঋণ করে সন্তানদের লেখাপড়া চালাতে হবে। রংপুর নগরীর একটি বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহজাহান হোসেন জানান, তাকে বিদ্যালয়ে থেকে বলা হয়েছে বন্ধকালীন সময়ে পুরো বেতন ও অন্যান্য ফি দিতে হবে। পুরো বকেয়া দিতে গেলে তার ঋণ করা ছাড়া উপায় নেই। তিনি সন্তানের চিন্তায় দিশাহারা। আরেক অভিভাবক ইমরোজ হোসেন বলেন, তাকেও বকেয়া পুরো বেতন পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তাতে কয়েক হাজার টাকা লাগবে। এত টাকা সংগ্রহ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের মতো হাজার হাজার অভিভাবক  সন্তানদের বকেয়া বেতন নিয়ে চিন্তিত।

শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে এভাবে বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য ফি নেওয়া বেআইনি।  মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে শুধুমাত্র টিউশন ফি নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বেশি নিলে সেটা বেআইনি। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর