প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে পিরোজপুরে নির্মাণ করা হয়েছিল সমন্বিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের হোস্টেল। বর্তমানে এখানে নেই কোনো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশু বা শিক্ষার্থী। দেখাশোনার নেই জনবল। ফলে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, পিরোজপুর শহরের আদর্শপাড়ায় ২০১৭ সালে কার্যক্রম শুরু হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশু হোস্টেলের। জমি কিনতে ব্যয় হয় ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। সেখানে দোতলা ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এরপর আসবাবপত্র কেনার খরচ-তো আছেই। এ ভবনে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য রয়েছে ১০টি সিট। শিশুরা এখানে থাকবে এবং লেখাপড়া করবে অন্য কোনো স্কুলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর সব মিলিয়ে তিনজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশু এখানে ছিল। গত দুই বছর ধরে নেই কোনো শিক্ষার্থী। কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়নি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। স্থানীয় এক নারীকে অস্থায়ীভাবে মাসিক বেতনে রাঁধুনী হিসেবে রাখা হয়েছে। তিনি বসবাস করেন পরিবার নিয়ে। ভবনের প্রধান ফটক থাকে তালাবদ্ধ। ভিতরে বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে আসবাবপত্র। এ প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা একজন রিসোর্স শিক্ষক, একজন অফিস সহায়কসহ পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুধু অফিস সহায়ক। তিনিও নেই কর্মস্থানে। পিরোজপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইব্রাহিম খলিল জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের বাইরে রাখতে চায় না পরিবার। এ কারণে হোস্টেল থাকার মতো শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ইকবাল কবির বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মাণ করা এ প্রতিষ্ঠানটি লোকবলের অভাবে চালানো যাচ্ছে না।