দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে খানিকটা আগে ভাগেই শীত পড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দিনের বেলাতেও ঝড়ছে ঘন কুয়াশা। ঘনকুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলছে অপরদিকে শীতে কাজে যেতে না  পেরে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত নানা রোগে। গতকাল সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে হিলির পুরো এলাকা, বৃষ্টির মতো আকাশ থেকে ঝড়তে থাকে কুয়াশা। সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে শীতের তীব্রতা সকাল থেকে শুরু করে বেলা ১১টা পর্যন্ত আকাশ থেকে অঝোড়ে কুয়াশা ঝড়ছিল দেখা মেলেনি সূর্যের। অবশ্য এর পরে সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকে। তবে বিকালের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা কমতে থাকে। পঞ্চাশোর্ধ্ব আমির  হোসেন বলেন, আজকে প্রচ  শীত, শীতের কারণে বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছি না সকাল ১০টা  পেরিয়ে গেছে তারপরেও শীত কমছে না। সেই সঙ্গে ঘনকুয়াশা যার কারণে কাজেও যেতে পারছি না। পথচারি মেহেদি হাসান বলেন, আজকে খুবই অবস্থা খারাপ শীতের মাত্রা মনে হয় সর্বোচ্চ বেশি সেই সঙ্গে এত পরিমাণ কুয়াশা পড়ছে যা বলার মতো না ২/৩ ফিট সামনে কি আছে সেটি দেখা যাচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাই হাঁটতে পারছি না যারা বয়স্ক ও শিশুরা আছেন তারা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। তারা শীতের কারণে আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর সর্দি কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে। ট্রাকচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকা থেকে হিলি স্থলবন্দরে পাথর নিতে এসেছি যেখানে আমাদের হিলিতে পৌঁছানোর কথা ছিল সকালে সেখানে পৌঁছতে ৯টা বেজে গেছে। এর একমাত্র কারণ হলো সকাল থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে সামনে কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে  কোনোরকমে খুব ধীরে ধীরে দেখে-শুনে ট্রাক চালাতে হয়েছে যার কারণেই আসতে দেরি হয়েছে। এর ফলে সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া এই কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর দিনাজপুরের ইনচার্জ  তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বায়ুম লের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণটা বেড়ে গেছে যার কারণে কুয়াশার পরিমাণটা বেশি আর সূর্যের আলো স্বাভাবিকের তুলনায় ২/৩ ঘণ্টা পরে পাওয়া যাচ্ছে। আর আজকে দিনাজপুর অঞ্চলের তাপমাত্র ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাড়তি কুয়াশার পরিমাণ আরও একদিন থাকবে এর পরে মাত্রা কমে আসবে তবে শীতের মাত্রা ধীরে ধীরে আরও বাড়বে।