গাজীপুরে অটোরিকশাচালক শরিফুল হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানান। আটকরা হল- শফিকুল ইসলাম, হানিফ, আফ্রিদি, রাকিব হোসেন, রাজিব শেখ ও জুয়েল রানা। এদের মধ্যে আফ্রিদি ও শফিকুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অপর আসামি রাকিব হোসেন, রাজিব শেখ, জুয়েল রানা ও হানিফকে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ সুপার জানান, শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৯ ডিসেম্বর সকালে তিনি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শরিফুলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নিহতের বড় ভাই থানায় মামলা করেন। পিবিআই পুলিশ আরও জানান, শরিফুল ঘটনার ১০-১২ দিন আগে জয়দেবপুর থানার ভাওয়াল মির্জাপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের মেয়ে কারিমাকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বাড়িতে নেওয়ার কথা ছিল। কারিমার দুই বোনের স্বামী রাকিব হোসেন ও জুয়েল রানাসহ পরিবারের সদস্যরা বিয়েতে রাজি ছিলেন না। তারা শরিফুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছমত ওরফে তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিকটিমকে হত্যার জন্য এক লাখ টাকা চুক্তি করেন। চুক্তিমতে শরিফুলকে সিগারেট খাওয়ানোর কথা বলে আছমতসহ অন্যরা বনখড়িয়া বাজার সংলগ্ন গজারী বনে নিয়ে যায়। সেখানে শরিফুলকে গলা কেটে হত্যা করে।