ভাঙাচোরা সড়ক আর অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে জামালপুর বিসিক শিল্প নগরী। প্রতিষ্ঠার পর তিন দশক পেরিয়ে গেলেও গড়ে ওঠেনি কাক্সিক্ষত শিল্প-কারখানা। বর্তমানে যে কটি কারখানা রয়েছে বারবার লোকসানের বোঝা নিয়ে সেগুলোও বন্ধের পথে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই এর জন্য দায়ী করেছেন এখানকার উদ্যোক্তা ও শ্রমিকরা। ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে ১৯৯০ সালে ২৬ একরের বেশি জায়গা নিয়ে জামালপুরের দাপুনিয়া এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় বিসিক শিল্প নগরী। কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭টি প্লট তৈরি করা হয় নগরীতে। সে সময় ছোট-বড় মিলিয়ে ৮২টি শিল্প-কারখানাও গড়ে উঠে সেখানে। ১৯৭টি প্লটের মধ্যে সবগুলো বরাদ্দ হলেও বর্তমানে ৫৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে যায় বাকি ২৬টি শিল্প ইউনিট। তবে চালু থাকা শিল্প কারখানাগুলোও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, এদের মধ্যে বিশটির অবস্থা একেবারেই নাজুক। কারখানা মালিকরা জানান, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার অভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী নন উদ্যোক্তারা। বিসিক শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার পর পানি নিষ্কাশনের জন্য নতুন করে কোনো ড্রেন নির্মাণ বা সংস্কার করা হয়নি। ফলে পুরনো সুরু ও ভাঙাচোরা ড্রেনে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা সব সময় লেগেই থাকে। তাছাড়া বর্ষাকালে হাঁটু সমান পানি জমে শিল্প এলাকায়, তখন কারখানায় পানি প্রবেশ করে অনেক সম্পদ নষ্ট হয়। কারখানার মালিকারা নিজস্ব উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বাতির ব্যবস্থা করলেও বিসিকে নেই কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বা নিরাপত্তা প্রহরী, এতে সন্ধ্যার পর এখানে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। ফলে যে কেউ যখন তখন অবাধে প্রবেশ করতে পারে বিসিক এলাকায় এবং প্রায়ই ঘটছে চুরির ঘটনা। সব রাজস্ব পরিশোধ করেও শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন বিসিক নগরীর শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিকরা। বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক খান মিলন জানান, পৌর মেয়রের সহায়তায় জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।