রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ফরিদপুরে পানির দামে রসুন

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরে পানির দামে রসুন

ফরিদপুরে স্মরণকালের সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকায়। আর কৃষক কেজিপ্রতি বিক্রি করছেন ৫-৭ টাকায়। ফলে এ বছর রসুন নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন কৃষক। উৎপাদিত রসুন বিক্রি করে শ্রমিক খরচই উঠছে না তাদের। আগামীতে জেলার অনেক কৃষক রসুন আবাদ করবেন না বলে জানিয়েছেন। ফরিদপুরে মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে পিঁয়াজ ও রসুনের আবাদ হয় বেশি। সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, অম্বিকাপুর, চরমাধবদিয়া, ঈশান গোপালপুর এবং সালথা, ভাঙ্গা, নগরকান্দা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আবাদ করা হয় রসুন। গত বছর এ জেলায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছিল। এ বছরও চরাঞ্চলে প্রচুর আবাদ হয়েছে। কৃষক বলছেন, এ বছর রসুন নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তারা। পুরাতন রসুন এখন বিক্রি করছেন প্রতি মণ ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। রসুন বিক্রি করে খরচ ওঠা তো দূরের কথা কামলা খরচই পাওয়া যাচ্ছে না। চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের কৃষক হাকিম বেপারী জানান, এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। দুই বিঘায় রসুন পেতে পারেন ৪০ মণ; যা বাজারে বিক্রি হবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা মণ দরে। সব মিলিয়ে রসুন বিক্রি করে তার ক্ষতি হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বোয়ালমারীর ময়েনদিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, এবার রসুনের দাম একেবারে কম। পুরাতন রসুন তারা কিনছেন ৩০০ টাকা মণ দরে। আর একটু ভালো মানের এবং শুকানো ও বড় আকারের হলে তার দাম পড়ছে প্রতিমণ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। মমিনখাঁর হাটের রাখীমাল ব্যবসায়ী জিন্নাত আলী জানান, এ বছর রসুন বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। দেশি রসুন কেউ কিনতে চায় না। ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে।

সর্বশেষ খবর