রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

জনবল-সরঞ্জাম সংকটে বেহাল চিকিৎসাসেবা

দাউদকান্দি প্রতিনিধি

জনবল-সরঞ্জাম সংকটে বেহাল চিকিৎসাসেবা

কাগজ-কলমে তিতাস উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও বাস্তবে ৩১ শয্যার সেবাও মিলছে না। জনবল এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সংকটে এখানে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সেবা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ছুটে যেতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালে। জানা যায়, ২০০৪ সালে ৩১ শয্যার তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হয়। সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৯ সালে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। শয্যা বৃদ্ধি করা হলেও কোটা অনুযায়ী ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় রোগীরা প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ২০১০ সালের ১৫ মার্চ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন বরাদ্দ পেলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে তা আজও চালু হয়নি। ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর আব্বাস আলী ফাউন্ডেশন থেকে এখানে একটি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দেওয়া হয়। তাও টেকনিশিয়ানের অভাবে বাক্সবন্দি রয়েছে। এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ যে কোনো পরীক্ষার জন্য রোগীদের ছুটতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিকে। মেডিকেল অফিসারের তিনটি পদের মধ্যে তিনজন কর্মকত থাকলেও ইমার্জেন্সি সামাল দিতে হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কম্পাউন্ডার দিয়ে। এখনো মেডিসিন ও রেডিওগ্রাফির শাখার পদ খালি। হোমিওপ্যাথি বিভাগের মেডিকেল অফিসার সুদীপ কুমার দাস বলেন, ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার না থাকায় টিএইচও স্যারের নির্দেশে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আমার সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ হোসেন বলেন, ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এর কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। কাগজপত্র ঠিক করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় সুইপার আর কম্পাউন্ডার দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলেও কম্পাউন্ডার তার নামের আগে ডাক্তার শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন না।

সর্বশেষ খবর