রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঠান্ডায় কাহিল উত্তর জনপদের মানুষ

প্রতিদিন ডেস্ক

ঠান্ডায় কাহিল উত্তর জনপদের মানুষ

উত্তরের বিভিন্ন জেলায় দুই দিন ধরে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। সকাল থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। কমেছে তাপমাত্রা। গতকাল সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড়কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম। বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। বেড়েছে ঠান্ডাজনিত অসুখবিসুখ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

পঞ্চগড় : এ জেলায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও উতাপ ছড়াতে পারেনি। মধ্যমাঘের পর তাপমাত্রা ক্রমেই নামছে নিচের দিকে। বাড়ছে শীতের দাপট। ঘনকুয়াশা আর হাড়কাঁপানো শীত এ জনপদের মানুষকে কাবু করে ফেলেছে। গতকাল সকালে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

লালমনিরহাট : পাঁচ উপজেলাসহ তিস্তার ৬৩ চরের মানুষ শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন। অসহায় মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার সকালে লালমনিরহাটে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লালমনিরহাট সূর্যের দেখা দিলেও দিনভর কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শিশু-বৃদ্ধরা ঘর থেকেই বের হতে পারছেন না। শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাচ্ছেন না।

দিনাজপুর : অব্যাহতভাবে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের মানুষ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ। গতকাল ভোরে দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঘের তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিশু, বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অটোরিশা              চালক ফারুকসহ খেটে খাওয়া মানুষ জানান, শীতে তাদের কষ্ট বেড়েছে। শীতের কারণে তেমন কাজকর্ম নেই।

নাটোর : হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষজন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার আগেই কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। গরম কাপড়েও নিবারণ হচ্ছে না শীত। আগুন জ্বালিয়ে অনেকে তাপ নিচ্ছেন। তীব্র ঠান্ডার কারণে খেতে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা। ঘন কুয়াশায় রবি ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানান কৃষকরা। হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোগী।

কুড়িগ্রাম : ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। সকাল থেকে কুয়াশার সঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে যানবাহনে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু ভুগছে শীতকষ্টে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় দেখা দিয়েছে সর্দি কাঁশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।.

সর্বশেষ খবর