রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবন জীবিকা

দিনে প্রায় ৫০০ টাকা আয়

হিলি প্রতিনিধি

ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে জীবন জীবিকা

ঘোড়ার গাড়ি আগের মতো তেমন দেখা না গেলেও দিনাজপুরের হিলিতে এই গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন আবদুল মতিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। ৩২ বছর ধরে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে সংসার চালানোর পাশপাশি তিন ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এই এলাকায় তার মতো আরও ১৮-২০ জন জীবন-জীবিকার জন্য ঘোড়ার গাড়ির ওপর নির্ভরশীল। তাদের বাপ-দাদার পেশাও ছিল ঘোড়ার গাড়ি চালানো। কেউ কেউ গাড়ি চালানোর পাশাপাশি ঘোড়া বেচা-কেনাও করেন। হিলির হরিহরপুর গ্রামের আবদুল গাফফার বলেন, আমি প্রায় ২২ বছর ঘোড়ার গাড়ি চালাই। আমার নিজস্ব কিছু আবাদি জমি আছে। সেই জমি চাষাবাদের পাশাপাশি ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে সংসার চলে। কারও কাছে হাত পাততে হয় না। একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াই শেষে বোরোর জন্য জমি তৈরি করছেন চাষিরা। কৃষকের সেসব জমিতে গোবর সার ঢোলাইয়ের কাজ করছি আমরা ঘোড়ার গাড়িয়ালরা। সারাদিন ৮ থেকে ৯ গাড়ি গোবর মাঠে ফেলছি। ঢোলাই বাবদ গাড়িপ্রতি নিচ্ছি ৭০ টাকা। এতে প্রতিদিন আয় হয় ৫০০-৫৫০। এর মধ্যে দিনে ঘোড়ার পিছনে ব্যয় হয় ১০০ টাকা। বোরো ও আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের সময় আমাদের আয় আরও বেশি হয়। হরিহরপুর গ্রামের আবদুল মতিন বলেন, ঘোড়ার গাড়ি বাপ-দাদারা চালিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও এর ওপর নির্ভরশীল। অন্য কাজ তেমন জানি না। হিলির আলিহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বলেন, ঘোড়ার গাড়ি ঐতিহ্যবাহী বাহন। সেই বাহন এখনো ধরে রেখেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার হরিহরপুরের কিছু মানুষ। তাদের যে কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এ উপজেলায় এখনও অর্ধশতাধিক পরিবার ঘোড়ার গাড়ির ওপর নির্ভরশীল। অনেকে ঐতিহ্যবাহী এ পেশা ছেড়ে অন্য কোনো কাজ করতে চায় না।

সর্বশেষ খবর