রবিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

ভোলাহাটে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশ্রয়ণ প্রকল্পে মসজিদের নামে প্রকল্প দেখিয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকার। অভিযোগে জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার চরধরমপুর টাঙ্গন মোহনায় ভুমিহীন গৃহহারা মানুষের জন্য ১০০টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহারের বাড়ি নির্মাণ করা হয়। বিশাল এ জায়গাটিতে ডিজাইন করা হয় ১০০টি বাড়ি নির্মাণের সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, রাস্তা, মসজিদ, স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার ও কবরস্থানের। ইতিমধ্যে ১০০টি বাড়ি তৈরি করে ভূমিহীন ১০০টি গৃহহীন পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে তারা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়িতে বসবাস করছেন। আলো, পানি সুবিধা পেয়ে বেশ খুশি তারা। এদিকে স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্থানটির নামকরণ করেন ‘মুজিব পল্লী’। এখানে রাস্তা, মসজিদ, স্কুলসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার কথা। কিন্তু বাড়ি নির্মাণের সময় নির্মাণ শ্রমিক থাকার জন্য একটি গোডাউন ঘর নির্মাণ করা হয়।

সেই ঘরটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করেন উপকারভোগীরা। এদিকে সম্প্রতি ভোলাহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. কাউসার আলম সরকার মসজিদ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতিদের তার অফিসে ডেকে পাঠান। ফলে কমিটির সদস্যরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে গেলে মসজিদের নামে প্রকল্প আছে মর্মে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার প্রকল্প দেখিয়ে প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বরাদ্দের টাকার চেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মসজিদের উন্নয়নে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার চেকে প্রকল্প সভাপতি মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কয়েশ উদ্দিনের স্বাক্ষর নিলেও একটি টাকাও তাদের দেওয়া হয়নি। এ সময়  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. কাউসার আলম সরকার তাদের বলেন, এ চেকের টাকা দেওয়া যাবে না। কারণ ওখানে তার আমার পকেট থেকে টাকা খরচ করে কাজ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে মসজিদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কয়েশ উদ্দিন জানান, পিআইও আমাদের মসজিদ কমিটিকে অফিসে ডেকে অনেক কাগজপত্রে সই করিয়ে নিয়েছেন। এমনকি মসজিদের নামে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার চেকে সই করিয়ে নিয়ে টাকা দেননি তিনি। পিআইও বলেছেন, তার পকেট থেকে টাকা খরচ করেছের তাই টাকা কেটে নিয়েছেন। অন্যদিকে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রাকিব বলেন, যেটা মসজিদ আছে এটা নির্মাণ শ্রমিকদের গোডাইন ঘর ছিল। কাজ শেষ হলে আমরা মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওপরে টিন ও মেহেরাব তৈরি করেছি। পিআইও এ মসজিদে কোনো টাকা খরচ করেনি। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা মো. কাউসার আলম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, যারা অভিযোগ করছে তারা দেশের জন্য কোনো কাজ করতে পারে না শুধু অভিযোগ করতে পারে।

 

সর্বশেষ খবর