সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ফরিদপুর বিএসএমএমসি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে ভোগান্তি

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুর বিএসএমএমসি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে ভোগান্তি

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নত এবং আধুনিক চিকিৎসাসেবা দিতে ১৯৯৪ সালে ২৫০ শয্যা নিয়ে ফরিদপুরে প্রতিষ্ঠা করা হয় ২৫০ বেড হাসপাতালটি। যেটি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (বিএসএমএমসি হাসপাতাল) হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এ হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ৫১৭। বর্তমানে ৭৫০ বেডে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া চলছে। শুরু থেকেই এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসক সংকট চলে আসলেও বিভিন্ন নতুন নতুন বিভাগ খোলার পর সংকট আরও বেড়েছে। একদিকে দালালদের দৌরাত্ম্য অন্যদিকে চিকিৎসক সংকট আর সেবার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকায় হাসপাতালটি এখন নানা আলোচনায় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অপারেশন করতে গিয়ে এক রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করার ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচিত। হাসপাতাল থেকে এক আয়ার আলমারি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিও বেশ সমালোচিত হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চিকিৎসকের বিতর্কিত নানা কর্মকান্ড এখন লোকজনের মুখে মুখে। তাছাড়া পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনা দেশব্যাপী প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালটিকে ঘিরে বড় ধরনের একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনি অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করছে। সবমিলিয়ে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে হাসপাতালটি। জানা গেছে, ৫১৭ বেডের এ হাসপাতালটিতে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এ ছাড়া নার্স, ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার, আয়াসহ বিভিন্ন  পদে বেশির ভাগই শূন্য। মাস্টাররোলে যারা চাকরিরত রয়েছেন তাদের বেশির ভাগই প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে আঁতাত রয়েছে। নানা কৌশলে ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে রোগী ভাগিয়ে নেওয়াই তাদের মূল ব্যবসা। আর হাসপাতালটির কয়েক চিকিৎসক বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন এমন নজির অসংখ্য।

সর্বশেষ খবর