সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মহাসড়ক-রেললাইনে বাজার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

মহাসড়ক-রেললাইনে বাজার

কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক ও রেললাইন দখল করে বসানো হচ্ছে হাট-বাজার।  কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া পৌরবাজারে রেললাইনের ওপর বসছে মাছের বাজার। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয়ে এ বাজার চলে বিকাল পর্যন্ত। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী উপজেলার চড়াইকোলে সড়ক দখল করে প্রায় ১৫ বছর ধরে বসানো হচ্ছে পশুহাট। কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতা প্রতিনিয়ত এ হাটে ভিড় করেন। মহাসড়ক ও রেললাইনের ওপর হাট-বাজার বসায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কের ওপর পড়ে থাকা পশুর বর্জ্য ও আবর্জনা পরিবেশ দূষণ করছে।

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে প্রতি বুধবার বসে গরুর হাট। এ সড়কের মাত্র ৭০ মিটার উত্তরে চড়াইকোল রেলস্টেশন। এখানে রেললাইন দখল করে বসছে ছাগল ও সাইকেলের হাট। জানা যায়, ১৫ বছর ধরে সপ্তাহের প্রতি বুধবার চড়াইকোল স্টেশন বাজারে পশুহাট বসে। হাটটি আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে হওয়ায় পশুবহনকারী যানবাহন সড়কের দুই পাশ দখল করে রাখে। এতে সড়ক দিয়ে মানুষসহ যানবহন চলাচলে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি। প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। পৌরবাজারে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে মাছ বাজার। শহরের বড়বাজার এলাকায়ও রেললাইনের ওপর বিকাল হলেই কলা বিক্রেতারা পসরা সাজান। কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক এস এম কাদেরী শাকিল বলেন, মহাসড়ক এবং রেললাইনের ওপর হাট-বাজার বসানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জনস্বার্থে অবিলম্বে মহাসড়ক এবং রেললাইনের ওপর থেকে হাট-বাজার অপসারণ করা উচিত। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, রেললাইন এবং মহাসড়কের ওপর হাট-বাজার বসানোর নিয়ম নেই। কারা, কীভাবে হাট-বাজার বসাচ্ছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুমারখালীর ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল জানান, শুধু হাটের জায়গা ইজারা দেওয়া হয়। মহাসড়ক বা রেললাইনের ওপর হাট-বাজার বসানোর নিয়ম নেই। কেউ সড়কের ওপর অবৈধভাবে যানবাহন রেখে বা রেললাইন দখল করে হাট-বাজার পরিচালনা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর