উন্নয়ন ক্রমবর্ধমান জামালপুরের এখন বড় সমস্যা যানজট। মূলত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাই যানজটের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন জেলাবাসী। জামালপুর শহরে প্রতিদিন ১০ হাজারে বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে। এসব যানের অধিকাংশ চালকই অদক্ষ। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া সড়ক অটোরিকশার দখলে চলে যাওয়ায় অন্যান্য যানবাহনের স্বাভাবিকভাবে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। জামালপুর পৌরসভার তথ্যানুসারে ৩ হাজার ২২৫টি অটোরিকশাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জামালপুরের হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের কর্মব্যস্ততা। কিন্তু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র চলাচলের কারণে জামালপুরের এক বড় সমস্যা যানজট। মাত্র পাঁচ কিলোমিটার বিস্তৃত জামালপুর শহরে যেখানে হাজার খানেক অটোরিকশা চলাই দায়, সেখানে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি চলাচল করছে। দিন যতই যাচ্ছে এর সংখ্যাও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। যেখানে সেখানে অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করায় যানজট লেগেই থাকছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি অটোরিকশা চলাচল করায় যত বিপত্তি। যানজটের কারণে কখনো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। পাঁচ মিনিটের রাস্তায় লেগে যায় আধ ঘণ্টার বেশি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। খোদ অটোচালকরাই প্রশিক্ষণ না জানার বিষয়টি স্বীকার করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে, এদিকে অটোচালকদের কল্যাণের নামে একটি সিন্ডিকেট শহরের একাধিক পয়েন্টে অটোপ্রতি ১০ টাকা চাঁদা তুলছে। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে ঘটছে মারধরের ঘটনা। যাদের কল্যাণের নাম করে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে, বিপদে তাদের কোনো কাজে আসছে না। বাংলাদেশ অটোবাইক ও চার্জারভ্যান শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, প্রতিদিন অটো থেকে যে পরিমাণ জিবি উঠানো হয় তা বিভিন্ন খাতে বন্টন করে বাকি অংশ নিজেরা ভাগ করে নেন। সেখান থেকে চালকদের কল্যাণের জন্য টাকা জমানো হয় এবং অটোচালকদের বিপদে সহায়তা করা হয়। চালকরা ঠিকভাবে চাঁদা দেন না, তাই সবাইকে সহায়তা করা হয়না। জামালপুর পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, পৌর এলাকার উন্নয়নে সরকার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ইতোমধ্যে ছয়টি লিংক রোডের কাজ শুরু করা হয়েছে। এসব রোড চালু হলে শহরের যানজট কমে যাবে। এছাড়া অটোরিকশা লাল ও সবুজ রংয়ে ভাগ করে আলাদা দিনে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অটো থেকে চাঁদা তুলতে নিষেধ করা হয়েছে।
তারপরও কিছু কিছু চাঁদা তুলছে শুনেছি, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।