শিরোনাম
বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ফল বাগান এখন দর্শনীয় স্থান

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

ফল বাগান এখন দর্শনীয় স্থান

মানিকগঞ্জে কুল বাগানে আসা দর্শনার্থী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নজর কেড়েছে মানিকগঞ্জের গিলন্ড এলাকার সানি একটি কুল ও পেয়ারা বাগান। করোনাকালে প্রাকৃতিক ভিটামিন সির ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। এ সময় কুল ও পেয়ারায় মানুষের কল্যাণ এবং নিজের কর্মস্থান হবে এই স্বপ্ন নিয়ে কৃষিতে আত্মনিয়োগ করেন সানি নামে এক ব্যক্তি। তার সেই বাগান এখন ক্রেতা-          দর্শনার্থীর আগমনে মুখর। মানিকগঞ্জে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন কুল বাগানে ঘুরে সময় কাটাচ্ছেন। দিনে দিনে বাগানটি দর্শনীয় স্থানে রূপ নিচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে আসছেন। ঘোরাঘুরি শেষে তারা সুলভমূল্যে কিনে নিচ্ছেন পেয়ারা, কুল, লাউ। সানি বলেন, যখন জানলাম করোনা রোধে ভিটামিন সি খুব কার্যকর তখন থেকে ভাবলাম কীভাবে মানুষের মধ্যে কমমূল্যে প্রাকৃতিক ভিটামিন সি পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই চিন্তা থেকে কার্যক্রম শুরু। গত বছর ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে কুল ও পেয়ারার আবাদ শুরু করি। বাগান থেকেই কুল-পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সাথী ফসল হিসেবে লাউ, মিষ্টিকুমড়া, শশা, বাঙ্গি, লাল শাক, তরমুজসহ অন্য ফসল রোপণ করেছি। প্রতিদিন লোকজন বাগান দেখতে আসেন এবং কিনে নেন বিভিন্ন কৃষি পণ্য। লোকজনের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। সানি জানান, সাফল্য দেখে প্রতিদিন বাগানে এসে লোকজন কৃষি বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। কম দামে বিষমুক্ত কৃষিপণ্য কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর কুল ও পেয়ারার আবাদ বাড়ছে। এ বছর জেলায় ৮১ হেক্টর জমিতে কুল ও ২৩২ হেক্টরে পেয়ারা আবাদ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর