শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

কৃষকের উদ্যোগে খাল খনন

বাড়বে সেচ সুবিধা ও উৎপাদন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

কৃষকের উদ্যোগে খাল খনন

মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার বিন্ন্যার হাওরে লস্যিধারা খালটি নিজ উদ্যোগে খনন করছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে খনন কাজ প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। খাল খনন শেষ হলে   এলাকায় সেচ সুবিধা ও ফসল উৎপাদন বাড়বে বলে দাবি কৃষকদের। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি খনন কাজ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। খনন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবং জেলা প্রশাসন। জানা যায়, সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ও গিয়াসনগর ইউনিয়নের আজমেরু, ভুজবল, গয়ঘর গ্রামের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে পানি সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ফসলি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। হাওরের খাল ভরাট হওয়ায় তিন ফসলের স্থলে ফলন হয় এক ফসলের। এ সংকট নিরসনে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে বিন্ন্যার হাওরের লস্যিধারা খালের আট ফুট গভীর এবং ১ হাজার ৮০০ ফুট দৈর্ঘ্য ধরে খনন শুরু করেন। এই খাল কোদালিছড়া খালের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। কোদালিছড়া পাহাড়িছড়ার সঙ্গে সংযোগের ফলে শীত মৌসুমে মনু নদের বিশেষ প্রকল্পে যুক্ত হবে। ফলে শীত-বর্ষা সারা বছরই পানি থাকবে। সব সময় পানি সরবরাহ থাকলে কৃষকরা আউশ, আমন, বোরো আবাদ করতে পারবেন। খালে বাড়বে মাছ উৎপাদন। রবিশস্যের ফলনও ভালো হবে। তাছাড়া হাওর এলাকায় বাড়বে পাখির আগমন ও বিচরণ। সব মিলিয়ে হাওরপারের বাসিন্দাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে। ভুজবল গ্রামের কৃষক নিখিল কুমার দাশ বলেন, এখানে খাল ছিল যা দখল ও ভরাট করা হয়ে গেছে। এখন খনন হলে অগরিব কৃষকরা উপকৃত হব। গয়ঘর গ্রামের ছাদ মিয়া বলেন, আমি বর্গা চাষ করে খাই। তিন ফসল এবং সবজি চাষ করতে পারলে পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারব। খাল খননের উদ্যোক্তা জাহেদ চৌধুরী বলেন, খালটি ভরাটের পর প্রভাবশালীরা দখল করে নেয়। এখানে শতাধিক মানুষের জমি রয়েছে। পানির অভাবে তিন গ্রামের মানুষ তিন ফসল আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। জেলা প্রশাসন খাল উদ্ধারের পর খননে সহযোগিতা করে। খননে প্রায় ৬ লাখ টাকা লাগবে। জমির মালিকরা খরচ বহন করছি। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, দখলমুক্ত করে পুনঃখনন শুরু হয়েছে। আবারও কৃষকরা তিন ফসল ধান এবং সবজি চাষ করতে পারবেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর