বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

যানজটে অতিষ্ঠ শহরবাসী

মো. শামীম কাদির, জয়পুরহাট

যানজটে অতিষ্ঠ শহরবাসী

জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ (চার লেন) কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রায় সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু না হওয়ায় তীব্র যানজটে নাভিশ্বাস ওঠেছে শহরবাসীর। এক রাস্তার এ শহরে সহজে চলাচল করার জন্য সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এরপর সড়ক প্রশস্ত করতে ভবনগুলোর একাংশ ভেঙে তা পুনরায় মেরামত করে নিয়েছে জয়পুরহাট শহরের অধিকাংশ ভবন মালিকরা। সড়কের দুই পাশের ভবন সংস্কার কাজের বালি-ইট-পাথর ও রাবিশগুলো ফুটপাথে রাখায় চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। ফলে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপে ভাঙাচোরা শহরে পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে শহরবাসীর। এ অবস্থায় চার লেন কাজ থেমে যাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ শহরবাসী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শহরে সহজে চলাচল করার জন্য সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। এরপর সড়ক প্রশস্ত করতে ভবনগুলোর একাংশ ভেঙে তা ফের মেরামত করে নিয়েছেন শহরের বেশির ভাগ ভবনের মালিক। সড়কের দুই পাশের ভবন সংস্কারকাজের ইট-বালু-পাথর ও রাবিশগুলো ফুটপাথে রাখায় চলাচল করতে পারছে না পথচারীরা। ফলে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপে ভাঙাচোরা শহরে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে পথচারীদের। এ অবস্থায় চার লেনের কাজ থেমে যাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ শহরবাসী। জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ২০১৫ সালে। আর এ কাজে ভূমি অধিগ্রহণসহ পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৬৪ কোটি টাকা। সড়কটির বগুড়ার মোকামতলা থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এই প্রকল্পের আওতায় আসে। এর মধ্যে মোকামতলা থেকে জয়পুরহাটের হারাইল পর্যন্ত সাড়ে ২৮ কিলোমিটার সড়ক ১৮-২৪ ফুট প্রশস্ত এবং হারাইল থেকে রেলঘুণ্টি পর্যন্ত শহরের আড়াই কিলোমিটার অংশ ৬০ ফুট প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার পর দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে তিনটি প্যাকেজে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ও ২০১৮ সালের ২৭ জুন কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চার লেন সড়ক উন্নয়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল কার্যাদেশ দেওয়ার দেড় বছরের মধ্যে। কিন্তু কার্যাদেশের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও সংস্কারকাজ এখনো শুরুই হয়নি। এদিকে সড়কটির ফুটপাথসহ বর্ধিত অংশ অধিগ্রহণ হলেও ইট-খোয়া-বালি ও রাবিশ ফেলে রাখায় ফুটপাথ দিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে না। এতে সরু সড়কে যানবাহনসহ পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন। শহরে বর্তমানে অটোরিকশার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী বাস ও মাঝে মধ্যে মালবোঝায় ট্রাক শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করায় বিড়ম্বনা বাড়ছে শহরবাসীর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর