বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

দিনাজপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ

শীত শেষে গরম আবহাওয়া। এই পরিবর্তনে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ৫১ শয্যার খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন ৮৫ জন ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগী ভর্তি রয়েছে। রোগী বাড়ায় শয্যা সংকট ও চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে বলে জানান হাসপাতালের আরএমও শামসুদ্দোহা মুকুল। জেলার খানসামায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে ১০ জন রোগী। এদের মধ্যে বেশি আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। শয্যা সংকট দেখা যাওয়ায় অধিকাংশ রোগীকে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন ৪ শতাধিক ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১৬ জন রোগী নির্ধারিত বেড ছাড়াও মেঝে ও করিডোরে রয়েছেন। খামারপাড়ার আবু মুসা নামে এক ব্যক্তি তার ভাগ্নেকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি জানান, হঠাৎ জ্বর-সর্দি ও কাশি হওয়ার পর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে কোনো সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালে এনেছি। আঙ্গারপাড়া গ্রাম থেকে আসা আয়েশা বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে দুই দিন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে এনেছেন। এখানে তিন দিন ধরে চিকিৎসা চলছে তার। চকসাকোয়া গ্রামের রহিমা খাতুন জানান, রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে যাই। সকালে উঠে দেখি দুই তিনবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। ফলে সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসিফ জাহান পিয়াস খান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুস্থ থাকতে বিশুদ্ধ পানি পানের পাশাপাশি বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাওয়ার আগে ও টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন খেতে হবে। খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, গরম আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে শিশুদের খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়লেও তাদের সেবা দিতে রয়েছে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন। গড়ে প্রতিদিন শুধু ডায়রিয়া রোগী আসছেন ১০-১২ জন।

ইনডোর এবং আউটডোরে রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে বেগ পেলেও সবাইকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা আমাদের রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর