দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা হিলিতে হঠাৎ করেই পেট্রোল পাম্পে মিলছে না চাহিদা মাফিক পেট্রোল। বিপাকে পড়েছেন  মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন মালিকরা। একে তেলের দাম বাড়ানোর কৌশল হিসেবে মনে করছেন ভোক্তারা তবে ডিপোতে চাহিদা মোতাবেক তেল না পাওয়ায় আমরা সরবরাহ করতে পারছি না দাবি পাম্প কর্তৃপক্ষের। পাম্পে পেট্রোল নিতে আসা  মোটরসাইকেল চালক রকিবুল হাসান বলেন, আমি পাম্পে মোটরসাইকেলের জন্য পেট্রোল নিতে আসলাম টাংকি ফুল করব বলে। কিন্তু পাম্প থেকে দিচ্ছে মাত্র ৩ লিটার তেল। এতে করে তো আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তারা বলছে তাদের নাকি তেলের সংকট যার কারণে কম দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো মনে হচ্ছে তাদের পর্যাপ্ত  তেল রয়েছে তারা তেলের মজুদ করে দাম বাড়ানোর জন্য এই কৌশল করছে। তেল নিতে আসা মোটরসাইকেলচালক পাপ্পু মিয়া বলেন, আমরা সাধারণত এই পাম্প থেকে তেল নিয়ে  মোটরসাইকেল চালিয়ে থাকি। কিন্তু গত কয়েকদিন  থেকেই এখানে তেলের সমস্যা। আমরা সময়মতো  তেল পাচ্ছি না, কখনো দিচ্ছে আবার কখনো তেল দিচ্ছে না, যার কারণে অনেক সময়ে ঘুরে যেতে হয়। আবার কখনো দিলেও চাহিদামতো তেল দিচ্ছে না লাগবে ৫লিটার তারা দিচ্ছে ২লিটার। যখন  তেলের দরকার তখন তেল পাওয়া যাচ্ছে না এতে করে আমাদের তো গাড়ি চালানো সমস্যা দেখা দিয়েছে। একটি স্কুলের মাইক্রোবাস চালক ইয়াসিন  হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের মাইক্রোবাসে করে নিয়ে স্কুলে নিয়ে আসি আবার ক্লাস শেষে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেই। গতকয়েকদিন ধরে আমাদের মাইক্রোবাসের তেলের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পাম্পে চাহিদামতো আমরা তেল পাচ্ছি না এতে করে গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে আমরা চাই যাতে নিরবিচ্ছিন্ন তেল পায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি আমরা। তেল নিতে আসা  মোটরসাইকেল চালক সবুজ হোসেন বলেন, এখানে তেল নিতে আসছি কিন্তু পাম্পে আমরা ঠিকমতো তেল পাচ্ছি না। তেল না পাওয়ার কারণে আমাদের খুব ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি আমরা। মেসার্স হিলি ফিলিং  স্টেশনের ম্যানেজার গোলাম রাব্বানি বলেন, এই উপজেলায় একটি মাত্র পেট্রোল পাম্প যা দিয়ে স্থানীয় যানবাহনের তেলের চাহিদা মেটানো হয়। তবে আমাদের পাম্পে যে তেলের চাহিদা আমরা  সেই চাহিদা মোতাবেক ডিপো থেকে তেল পাচ্ছি না। বিশেষ করে পেট্রোল তেলের যে চাহিদা সেটি আমরা পাচ্ছি না। মাসে আমাদের চাহিদা ২১ হাজার লিটার সেখানে আমরা এখন পাচ্ছি সাড়ে ১০ হাজার লিটার বাকি সাড়ে ১০ হাজার লিটার আমাদের ঘাটতি। এই তেলের ঘাটতির কারণে আমরা পাম্পে ঠিকমতো গ্রাহকদের তেল দিতে পারছি না। যার কারণে তাদের সঙ্গে আমাদের বাকবিতন্ডা হচ্ছে। তবে অকটেন ও ডিজেল তেলের যে চাহিদা সে  মোতাবেক পাওয়া যাচ্ছে সেটির সমস্যা হয়নি এখনো।

এদিকে তেল না পাওয়ার কোনো কারণ আমরা খুঁজে বের করতে পারছি না। ডিপোতে বললেও তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না। তারাও বলছে তাদের নাকি তেল কম আসছে যার কারণে কম ডেলিভারি দিচ্ছি বলে জানান।