রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত রেলপথ মিটার গেজ থেকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয় ২০১৮ সালে। এরপর চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে একনেকের বৈঠকে প্রকল্প পাস হলেও কাজ শুরু করতে পারেনি রেল বিভাগ। রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পে কাউনিয়া থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ৫৭ কি.মি. মেইন লাইন স্থাপন করার কথা রয়েছে। সাতটি স্টেশন বিল্ডিং, গার্ডার ব্রিজ ১৪টি ও বক্স কালভার্ট ৩৩টি, চারটি প্ল্যাটফরম শেড নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া স্থাপন করা হবে ছয়টি কম্পিউটার বেজড সিগন্যালিং সিস্টেম। রেলপথটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ২৪ লাখ এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করার কথা ৩১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। শেষ তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত কাজই শুরু হয়নি। ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার পর ওই বছরের ১০ মার্চ পরামর্শক নিয়োগের জন্য নোটিস প্রকাশ করা হয়। সেটা উন্মুক্ত করা হয় ২৬ জুলাই। মূল্যায়নের পর ওই বছরের ১৯ আগস্ট তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের সম্মতি গ্রহণে সময় লাগছে। এ কারণে ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণকাজ শুরুর আগেই থমকে গেছে। জানা যায়, চিলাহাটি থেকে পার্বতীপুর-ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলপথ ব্রডগেজ। কিন্তু দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে ভারতের রাধিকাপুর এবং পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজ। কাউনিয়া-পার্বতীপুর ডুয়েলগেজে রূপান্তরিত হলে একই সঙ্গে মিটারগেজ ও ডুয়েলগেজ ট্রেন চলতে পারবে।
এতে যোগাযোগব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সহজেই রেলওয়ে ট্রানজিট স্থাপন করতে পারবে বাংলাদেশ। রেলের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবিব বলেন, এ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত পরামর্শক নিয়োগ না হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি।