রবিবার, ২২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

রামপালে আশ্রয়ণের দুরবস্থা

স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, চলে যাচ্ছেন বাসিন্দারা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

রামপালে আশ্রয়ণের দুরবস্থা

বাগেরহাটের রামপালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাগেরহাটের রামপাল উপজলায় একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প সংস্কারের অভাবে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। অর্ধেক বাসিন্দা আশ্রয়ণের ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার না করা গেলে যারা এখনো বসবাস করছেন তাদেরও আশ্রয়ণ ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে বলে জানান কয়েকজন বাসিন্দা। জানা যায়, রামপাল উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের পাশে সরকারি খাস জমিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে ২০০২ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করে। এ প্রকল্পে ১০ কক্ষের আটটি ব্যারাকে ৮০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের পর ২০ বছরেও ব্যারাকগুলাতে কোনো সংস্কার না করায় এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে প্রকল্পটি। আশ্রয়ণের বাসিন্দারা জানান, ঘরের কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়ার সময় মেঝেতে মাটি ছিল না। ছিল না রান্না ঘর। কক্ষ পাওয়ার পর তারা নিজেদের উদ্যোগে মেঝের মাটি ভরাটের পাশাপাশি রান্না ঘর নির্মাণ করেন। এই আশ্রয়ণের আটটি ব্যারাকের সবকটি ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ৩৯ পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বাসিন্দারা জানান, আশ্রয়ণের সব ব্যারাকের বেশির ভাগ টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। ওপরের দিকে তাকালে আকাশ দেখা যায়। ভেঙে গেছে টিনের বেড়া। দরজা-জানালা জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে রাত কাটাচ্ছেন তারা। বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যায় ঘর। বর্ষা এলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। বেশির ভাগ রান্না ঘর স্যাঁতসেঁতে। সেনিটেশনের অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানীয় বাঁশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহল বলেন, আশ্রয়ণের দুরবস্থার কথা উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। রামাপাল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সব আবাসন প্রকল্পের ঘর সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। সরকারিভাবে বরাদ্দ পেলে বসবাসের অযোগ্য সব আবাসন প্রকল্পের ঘর সংস্কার করা হবে।

সর্বশেষ খবর