রবিবার, ২২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

কুয়াকাটায় সমুদ্রবিলাস

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটায় সমুদ্রবিলাস

দখিনা বাতাস। কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি। সাগরে জোয়ের সঙ্গে একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। আকাশে মেঘের গর্জন জানান দিচ্ছে বর্ষার আগমনের। রোদে তপ্ত হওয়ায় হাজারো পর্যটক আড্ডায় মুখরিত ঝাউবাগানসহ বন-বনানী। এ যেন প্রকৃতি আর পর্যটকের নিবিড় সেতুবন্ধ। যে সব পর্যটক কুয়াকাটায় শীত মৌসুমে বেড়াতে এসেছেন, তাদের কাছে বর্ষার সমুদ্র বিলাস আলাদা অনুভূতি। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির লেক, রাখাইনপল্লী, ঝাউবন, লেম্বুর বন, লাল কাকড়ার চর, তিন নদীর মোহনা, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়ার সীমা বৌদ্ধ বিহারসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারণে মুখর। বর্ষার আগমনী শুরু হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা বেড়েছে। এমন রুদ্র মূর্তি দেখে কেউ কেউ ভয়ে সমুদ্রে নামছেন না। আবার অনেকে সমুদ্রের এমন দৃশ্য দেখে খুশি। সৈকত ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সমুদ্রে গোসল, হই হুল্লোড়, ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আনন্দ উল্লাস ও উম্মাদনায় মেতেছেন পর্যটকরা। আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক জিয়াউর রহমান বলেন, মৌসুমের শেষে ছুটির দিনে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। তার হোটেলের অধিকাংশ রুমই বুকিং রয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় তারা সাব সময় সতর্ক রয়েছেন।

 উত্তাল সমুদ্রে গোসল, সাতার কাটতে গিয়ে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখছে না। পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধে স্পিডবোট ও ওয়াটার বাইক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে বারবার সচেতন করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর