শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বগুড়ায় গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি বিপাকে অর্ধ লাখ খামারি

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি বিপাকে অর্ধ লাখ খামারি

বগুড়ার একটি গরুর খামার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বগুড়ায় গবাদি পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন অর্ধ লাখ খামারি। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে গরুর খাদ্য খড়। এ সুযোগে গোখাদ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে জেলায়। জানা যায়, কয়েকদিন আগেও গোখাদ্য যে দামে বিক্রি হতো এখন কেজিতে তা ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। আর বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এ অধিক দামে গোখাদ্য কিনে গরু লালনপালন করে লোকসান হবে এমন আতঙ্কে রয়েছেন খামারিরা। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গ্রামীণ জনপদে গড়ে ওঠা খামারে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ লালনপালন হয়ে আসছে। জেলা সদরের গোকুল, তেলিহারা, আশোকোলা, বাঘোপাড়া, মহাস্থানগড়, চাঁদমুহা, চণ্ডীহারা, কৈচর, ফুলবাড়ী, মাটিডালি, নুনগোলা, শেখেরকোলা, নামুজা, লাহিড়ীপাড়ায় রয়েছে গরুর বাণিজ্যিক খামার। এর সঙ্গে নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, সদর, শেরপুর, ধুনটসহ সব উপজেলায় রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার খামারি। খামারিরা গত বছর কোরবানির জন্য জেলায় চাহিদার তুলনায় প্রায় ৮৬ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত করেেিছলন। চলতি বছরও প্রায় সমানসংখ্যক পশু প্রস্তুতের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সারিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ দিন আগে ভুসির দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০ টাকা। এখন তা ৫৫-৬০ টাকা। এ ছাড়া ৩০ টাকা কেজির খুদ ৩৫-৪০, ১৬ টাকা কেজির চালের কুঁড়া ২০ ও ৮০০ টাকার ক্যাটল ফিডের বস্তা এখন ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার কৃষকরা বলছেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাদের গাদার খড় পচে নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে দুধের দাম কমেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার আন্দরবাড়ী গ্রামের খামারি বেলাল হোসেন জানান, তিনি কয়েকদিন আগে ৯ হাজার টাকার বোরো ধানের কাঁচা আঁটি কিনেছিলেন। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অর্ধেক খড় পচে গেছে। নারচী ইউনিয়নের দেবেরপাড়ার খামারি আরিফুর রহমান জানান, এভাবে গরুর খাবারের দাম বাড়তে থাকলে খামার টেকানো মুশকিল হবে। সারিয়াকান্দি প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় সর্বমোট ১৭৩টি গরুর খামার, ১ হাজার ২০০ ছাগলের, ৩৫টি ভেড়া ও গাড়লের খামার আছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য ঘোড়া ও মহিষ। এ হিসেবে পুরো উপজেলায় ১ লাখ ২০ হাজার গরু, ৭৩ হাজার ৫০০ ছাগল ও ৩ হাজার মহিষ রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম বলেন, ‘নানা কারণে গবাদি পশুর খাবারের দাম বাড়ছে। খামারিদের বেশি করে ঘাস চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

 

সর্বশেষ খবর