শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

আড়তে নেই চামড়া কেনার প্রস্তুতি, পাচারের শঙ্কা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

আড়তে নেই চামড়া কেনার প্রস্তুতি, পাচারের শঙ্কা

জয়পুরহাটের একটি চামড়ার আড়ত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া পড়ায় আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া কেনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের ব্যবসায়ীরা। সঠিক সময়ে চামড়া কিনতে না পাড়লে তা চোরাকারবারির হাতে চলে যাবে এমন আশঙ্কা করছেন তারা। ফলে কোটি কোটি টাকার চামড়া পাচার হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছর ঈদুল আজহায় জয়পুরহাট থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকার পশুর চামড়া ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। এ বছর জেলার আড়তগুলোতে নেই কোনো প্রস্তুতি। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান বাজার ধসে এমনিতেই লোকসানে রয়েছেন তারা। এরও পর ট্যানারি মালিকদের কাছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা বাকি পড়ায় নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। এ অবস্থায় চামড়া শিল্প বাঁচাতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে চামড়া মালিক সমিতি। জেলা শহরের আরাফাত নগর, আমতলী, পাঁচবিবি উপজেলার রেলগেট, আক্কেলপুরের হাজিপাড়া আড়তের চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা কয়েক বছরের কোটি কোটি পাওনা টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এ ছাড়া প্রতি বছর ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্যে চামড়া কেনায় বিপাকে পড়ছেন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত জেলা হওয়ায় এখানে চামড়া পাচারের আশঙ্কাও থাকে। তাছাড়া চামড়ার প্রধান কাঁচামাল লবণের দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন। বকেয়া টাকা পরিশোধে ট্যানারি মালিকরা যেন উদ্যোগ নেন ও ব্যাংকগুলোও সহজ শর্তে লোন দেয়, এ বিষয়ে সরকারকে সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। কোরবানির আগেই পুঁজি সরবরাহ করে চামড়া শিল্পকে সচল রাখবে ট্যানারি মালিকরা এমন আশা ব্যক্ত করেছেন জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি চামড়া শিল্পের প্রসারে লবণের দাম স্থিতিশীল রাখাসহ চামড়া পাচার রোধ ও বকেয়া পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এ শিল্প টিকে থাকবে।’ চামড়া পাচার রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম  বলেন, তাদের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার কাঁটাতার ঘেরা। বাকি ১৮ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার নেই। চোরাকারবারিরা মূলত এই জায়গাগুলো পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ওইসব স্থান সব সময় নজরদারিতে রাখা হয়।

সর্বশেষ খবর