সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘর পাচ্ছে আরও ৩৫৪ পরিবার

গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে দুপচাঁচিয়া ও নন্দীগ্রাম উপজেলা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

ঘর পাচ্ছে আরও ৩৫৪ পরিবার

চতুর্থ দফায় হস্তান্তরের জন্য নির্মিত ঘর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নন্দীগ্রাম উপজেলার ভ্যানচালক শাহ আলম। নিজের বলে কিছুই ছিল না তার। অন্যের দেওয়া জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কোনো মতে দিন যাপন করতেন। এখন তার নিজের ঘর হয়েছে, সঙ্গে পেয়েছেন জমির দলিল। খুশিতে আত্মহারা শাহ আলম কৃতজ্ঞ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি। শাহ আলমের মতো অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার পেয়েছেন জমির দলিলসহ। জানা যায়, আগামী ২১ জুলাই চতুর্থ দফায় বগুড়ায় ৩৫৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ‘ক’ তালিকাভুক্ত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ছিল ৩২৯টি। ২১ জুলাই ১০টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দুপচাঁচিয়ার ৩২৯ উপকারভোগী পরিবারকেই ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নন্দীগ্রামে ‘ক’ তালিকাভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪০৪টি। ২১ জুলাই ৪০টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে এ উপজেলারও সব উপকারভোগী পরিবার ঘর বুঝে পাবে। জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, দেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বগুড়া জেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক উপকারভোগীকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও কিছু ঘর হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। সে কারণে আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এই দুই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। এর আওতায় বগুড়ায় ৪ হাজার ৭৪টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘর পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ পরিবার। দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছরের জুনে বিতরণ করা হয় ৮৫৭টি ঘর। তৃতীয় পর্যায়ে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিতরণ করা হয়েছে ৯৩০টি। আগামী ২১ জুলাই চতুর্থ দফায় ৩৫৪টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়ার উপকারভোগী মনোয়ারা বেগম জানান, তার কোনো জায়গা জমি ছিল না। ভাড়া বাড়িতে থেকে অন্যের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ করতেন। সারা মাসে যা আয় করতেন তার অর্ধেক খরচই হতো বাড়ি ভাড়ায়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর দিয়েছেন। তাতে আমি সংসার শুরু করেছি। রাজাপুর গ্রামের সানাই বাদক পিরু খা বলেন, তার জমিজমা ছিল না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সানাই বাজিয়ে কোনো মতে সংসার চলত। তাকে পাকা বাড়ি করে উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর জন্য নামাজে বসে দোয়া করি। তিনি তো (প্রধানমন্ত্রী) মানুষ না, গরিবের সেবক ও গরিবের রানি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর