সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তা

দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ভরা বর্ষা মৌসুমেও পানির জন্য আকাশের দিকে চেয়ে আছেন দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের অনেক কৃষক। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও নেই বৃষ্টির দেখা। এই সময়ে যেখানে খেত জলমগ্ন থাকার কথা সেখানে অনেক স্থানের ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অন্যদিকে দাবদাহে অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের মানুষ। এ অবস্থায় আমন চাষিদের সেচ পাম্পের পানিই একমাত্র ভরসা। খেতে সেচ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরইই শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকের খরচ বাড়েছে। এখন পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় মাত্র ৬-৭ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করতে পেরেছেন কৃষক। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, জেলায় চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর। এ জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। আমন রোপণ হয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৯০০ হেক্টরে। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলায় আমন চাষ মূলত বৃষ্টিনির্ভর। সরকারি হিসেবে এখানে আমন চাষের প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে সেচের ব্যবস্থা নেই। যেখানে সেচের ব্যবস্থা আছে সেখানকার চাষিরাও বাড়তি খরচ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানির অভাবে কৃষক জমি চাষ করতে পারছে না। রোপা আমন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। উঁচু জমি শুকিয়ে কোথাও কোথাও ফেটে গেছে। অবস্থাসম্পন্ন কৃষক শ্যালো মেশিন বসিয়ে সেচ দিতে পারলেও দরিদ্র চাষিরা আছেন বৃষ্টির অপেক্ষায়। জেলা কৃষি অফিস জানায়, ঠাকুরগাঁওয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। দ্রুত ভারী বৃষ্টি না হলে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর