বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল ভবন

নোনা ধরেছে দেয়ালে উঠে যাচ্ছে টাইলস

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

নোনা ধরেছে দেয়ালে উঠে যাচ্ছে টাইলস

উঠে গেছে অপারেশন থিয়েটারের মেঝের টাইলস

হস্তান্তরের দুই বছরেই ৪৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ভবনের টাইলস উঠে যাচ্ছে। এসি থেকে পড়ছে পানি। এসির পানি ধরতে বিভিন্ন স্থানে পাতা হয়েছে বালতি। অপারেশন থিয়েটারের টাইলস খসে পড়ছে। বিভিন্ন দেয়ালে ধরেছে নোনা। মাঝেমধ্যে অচল হয়ে পড়ছে লিফট। বিপুল টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হাসপাতাল ভবন নিয়ে চিকিৎসক-কর্মচারীদের অভিযোগের শেষ নেই। এসব বিষয় গত ৮ মার্চ ৩০০ নম্বর স্মারকে অভিযোগ আকারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের অধীনে আট তলাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণের দায়িত্বে ছিল ঝিনাইদহ গণপূর্ত অধিদফতর। নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে টি.ই অ্যান্ড ইউসিসি জেভি নামে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভবন ও যন্ত্রপাতিসহ মোট ব্যয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। নির্মাণ শেষে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগ ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ভবন হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এর কিছুদিনের মধ্যেই কাজে নানা ত্রুটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শাহাদত খন্দকার তার দফতরের ২৫৩ নম্বর স্মারকে গত ৭ এপ্রিল গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরের ইট সুরকি উঠে যাচ্ছে। অনেক জায়গায় টাইলস খসে পড়ছে। নিম্নমানের কাঠ ব্যবহারের ফলে দরজা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। জানালা ও বারান্দার গ্লাস ভেঙে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লিফট।’ সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারের দেয়ালের টাইল খসে পড়েছে। পানি ঝরছে এসি দিয়ে। এসির নিচে গামলা ও বালতি বসিয়ে রাখতে হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমের মেঝের টাইলস পুরোটাই তুলে ফেলা হয়েছে। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম নির্মাণে ত্রুটির কথা স্বীকার করে বলেন, ভবনের সমস্যার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বিষয়টি গণপূর্ত অধিদফতরে জানানো হয়েছে। গণপূর্ত অধিদফতরের ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড ওলিভার গুডা বলেন, হাসপাতালের কিছু কাজ করা হয়েছে। বাকি সমস্যা চলতি অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে সমাধান করা হবে। ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, নির্মাণ কাজ গণপূর্ত ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝে নিয়েছেন। এখন কাজে ত্রুটি পাওয়ার দায়ভার ঠিকাদার নিতে পারেন না।

সর্বশেষ খবর