সংস্কারের জন্য প্রায় চার বছর আগে ইট তুলে ফেলা হয়েছে রাস্তার। দীর্ঘদিনেও হয়নি সংস্কার কাজ। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ১০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। চলমান বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সংস্কার কবে হবে কেউই বলতে পারছে না। স্থানীয়রা একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতরে মৌখিক ও চিঠি দিয়ে জানিয়েও সুরাহা পাননি। স্থানীয়রা জানান, এলজিইডির অধীনে থাকা ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুণ্ডা বাজার হয়ে ক্লাব বাজার-তাম্বুলখানা-কানাইপুর ইউনিয়নে গিয়ে মিশেছে রাস্তাটি। কৈজুরী ইউনিয়নের মধ্যে থাকা প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে। কৈজুরী ইউনিয়নের ভাটপাড়া-সাইচা লিংক রাস্তাটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। বাখুণ্ডা তেকে সালথা মেইন রাস্তা পর্যন্ত অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। রাস্তার বেশিরভাগ অংশে খানাখন্দকে ভরে যাওয়ায় চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই গর্তে পানি জমে কাদা-মাটিতে সয়লাব থাকে। তাম্বুলখানা গ্রামের হাসেম মাতুব্বর জানান, ফরিদপুর শহর থেকে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে এ রাস্তা দিয়ে গ্রামে আসতেন। কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি খারাপ থাকায় তারা আর তেমন চলাচল করেন না। বেতবাড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক আবুল হোসেন বলেন, রাস্তাটি খুবই খারাপ। এ রাস্তা দিয়ে আর ভ্যান চালাতে পারি না। সমেষপুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রাস্তা দিয়ে ভ্যানে কিংবা অটো রিকশায় গেলে মনে হয়, উত্তাল পদ্মানদী পাড় হচ্ছি। হেলেদুলে চলতে হয়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন দুর্ভোগ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছেন ১০ গ্রামের বাসিন্দারা। এ থেকে তারা পরিত্রাণ চান। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৮ সালে বাখুণ্ডা থেকে তাম্বুলখানা বাজার পর্যন্ত এবং আকইন-সাইচা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পায় সাজ্জাদ হোসেন বরকত। সেই সময় আকইন-সাইচা রাস্তাটির ইটের সলিং তুলে ফেলা হয়। তাছাড়া কাজের জন্য বাখুণ্ডা বাজার থেকে তাম্বুলখানা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থানের পিচ-ঢালাই তুলে ফেলা হয়। পরবর্তীতে ঠিকাদার কারাগারে গেলে রাস্তার সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ চার বছরে রাস্তাটির চলাচল একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) হায়দার শেখ বলেন, এ রাস্তা নিয়ে খুব বেকায়দা আছি। জনগণ নানা মন্দ কথা বলে। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই। বিভিন্ন সময় এলজিইডিকে রাস্তার বিষয়ে জানালেও তারা ব্যবস্থা নেয় না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া ফেলে চলাচলের যোগ্য করার চেষ্টা করেও পারছি না। ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, এ রাস্তার বিষয়ে আমরা জানি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।