মনু প্রকল্পের কাসিমপুর পাম্প সব সময় সচল না থাকায় বৃষ্টির পানিতেই মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরে পানি বাড়ছে। ফলে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টা পাম্প সচল রেখে কাউয়াদীঘি হাওরের পানি কমানো এবং রাজনগর উপজেলার মোকামবাজার রোডে মেদেনিমহল ভুরভুরি ছড়ায় নবনির্মিত সেতুটির অবকাঠামো আগের সেতু থেকে নিচে হওয়ায় হাওরপাড়ের লোকজন নৌকাযোগে চলাচল করতে না পারায় সেতুটি ভেঙে উঁচু সেতু নির্মাণের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি দিয়েছেন হাওররক্ষা সংগ্রাম কমিটি। জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে মনু প্রকল্পের কাউয়াদীঘি হাওরের বোরো ফসলে প্রয়োজনে পানি সেচ দিতে ও বর্ষা মৌসুমে হাওরের বর্ধিত পানি বের করে দেওয়ার জন্য ১৯৮২ সালে কুয়েত এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে কাসিমপুরে পাম্প হাউস স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে কাউয়াদীঘি হাওরে বোরো ও আমন ফসল বন্যায় কিংবা খরায় নষ্ট হচ্ছে না। বৃষ্টিপাতের ফলে সম্প্রতি কাউয়াদীঘি হাওরে প্রতিদিন পানি বাড়ছে। এতে সদর উপজেলার একাটুনা, আখাইলকুড়া ও রাজনগর উপজেলার ফতেপুর, উত্তরভাগ, পাঁচগাঁও এবং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের হাওরপাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিন দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভুক্তভোগী মানুষের চলাচলের রাস্তাসহ ঘরবাড়ি, ফসলি জমি জলমগ্ন হচ্ছে। কিন্তু মনু প্রকল্পের কাসিমপুর পাম্প ২৪ ঘণ্টা সচল না থাকায় হাওরের পানি বৃদ্ধি থামছে না। নিরবচ্ছিন্ন পাম্প হাউসের আটটি পাম্প সচল রেখে পানি সেচ দিয়ে কুশিয়ারা নদীতে ফেলার দাবিতে হাওররক্ষা সংগ্রাম কমিটি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাওররক্ষা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মঈনূর রহমান মগনু, সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জেলা কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ প্রমুখ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) এম এ হান্নান খান বলেন, চাহিদামতো বিদ্যুৎ জোগান না পাওয়ায় দিনে একটি পাম্প ও রাতে সব ক’টি পাম্প সচল রেখে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।