বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এপিএস ও যুগ্ম সচিব পরিচয়ে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক যমুনা প্রবাহর সম্পাদক মোস্তফা কামালকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগতে রাতে দৈনিক যমুনা প্রবাহর নির্বাহী সম্পাদক আবদুল মজিদ সরকার বাদী হয়ে সদর থানায় জিডি করেছেন। ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল জানান, মোবাইল ফোন থেকে তার ব্যক্তিগত নম্বরে রাশেদ নামে এক ব্যক্তি ফোন করে নিজেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এপিএস পরিচয় দিয়ে বলেন, সিরাজগঞ্জের উন্নয়নে কিছু প্লান্টের কাজ করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশি ও বিদেশি ১৭ জনের একটি টিম আসছে। তাদের জন্য ভিআইপি হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা পাঁচ দিন সেখানে থাকবেন। ওই ফোনেই এপিএস পরিচয়দানকারী রাশেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর স্যারের সঙ্গে কথা বলুন বলে জনৈক এক ব্যক্তির হাতে ফোন দেন। যার কণ্ঠস্বর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। মন্ত্রী পরিচয়দানকারী ব্যক্তি রাশেদের কথার রেশ ধরে মোস্তফা কামালকে বলেন, আপনি বিষয়টি সমন্বয় করেন। তাদের কথামতো মোস্তফা কামাল স্থানীয় অভিজাত হোটেলে রুম ও রেস্টুরেন্টে পাঁচ দিনের থাকা-খাওয়ার জন্য বুকিং দেন। পাঁচ দিনে সব মিলিয়ে ৫ লাখ টাকা বিল দাঁড়ায়। এ টাকার বিষয়ে এপিএস পরিচয়দানকারী রাশেদের সঙ্গে বললে তিনি শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির নম্বর দেন। যাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব বলে উল্লেখ করে বলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবেন। ওই নম্বরে মোস্তফা কামাল ফোন দিলে শহীদুল ইসলাম নামে একজন বলেন, আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরটা দেন। যেহেতু সরকারি টাকা তাই এ টাকা জমা হওয়ার আগে একটা ফি দিতে হয়।
এই বলে নিজের নগদ নম্বরে ১৯ হাজার টাকা দিতে বলেন। পরবর্তীতে এপিএস পরিচয়দানকারী রাশেদও একই কথা বললে মোস্তফা কামাল সরল বিশ্বাসে টাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকলে তাদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেন। ২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকে টাকা ঢুকে যাবে বলে মোস্তফা কামালকে আশ্বস্ত করার পর হঠাৎ ফোনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে কায়দায় প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছি।