শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

গ্রেফতার আতঙ্কে দুই গ্রাম পুরুষশূন্য

পুলিশের মামলায় আসামি ৯ শতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

গ্রেফতার আতঙ্কে দুই গ্রাম পুরুষশূন্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় মঙ্গলবার দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুপক্ষের ৯ শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। নবীনগর থানার উপপরিদর্শক ইমরান বাদী হয়ে বুধবার বিকালে মামলাটি করেন। ১২৭ জনের নাম উল্লেখসহ দুপক্ষের ৯ শতাধিক লোককে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরই গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে দুই গ্রাম। পুলিশের ভয়ে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে দৌলতপুর এবং সীতারামপুর বাজারের। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, সীতারামপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর মেয়ের বিয়ের দিন ছিল সোমবার। রবিবার বিকাল থেকে বিয়ে বাড়িতে সাজ-সজ্জা চলছিল। ডোকেরেশনের কাজ করছিলেন পাশের গ্রাম দৌলতপুরের সোহেল মিয়া। বিয়ে বাড়িতে নির্মাণ করা গেটের ডিজাইন পছন্দ না হওয়ায় সোহেলের সঙ্গে রবিবার বিকালে কনের ভাই রাজু ও রোমানের প্রথমে বাকবিত ও পরে সোহেলকে মারধর করেন তারা। সোহেলকে মারধরের খবর দৌলতপুরে পৌঁছালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সীতারামপুর বাজারে দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের কয়েকশ লোক সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় বাজারের ১০টি দোকান ভাঙচুর ও লুট করা হয়। দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন দাঙ্গাবাজরা। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গত বুধবার পুলিশ মামলা করলে দুই গ্রামের লোকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতার এড়াতে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষ সদস্যরা। দৌলতপুর গ্রামের আবদুল আলিম অভিযোগ করেন, পুলিশ গ্রামে এসে মানুষদের ধরে। ৫-৬ হাজার টাকা নিয়ে আবার ছেড়ে দেয়। একই গ্রামের হাবিব মিয়া বলেন, দুই পরিবারের ঝগড়ার কারণে আমরা পুরো গ্রামের লোকজন কষ্ট করছি। রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারি না। পুলিশ লোকজনকে ধরে আবার টাকা দিলে ছেড়ে দেয়। পুলিশ আমাদের হয়রানি করছে। স্থানীয় কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি আমজাদ হোসেইন আশরাফী বলেন, এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গেও পরামর্শ করেছি। তিনি বিষয়টি সমাধান করতে অ্যাড. সুজিতকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর