শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্যা খরা কাটিয়ে গোমতীর চরে সোনালি হাসি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

বন্যা খরা কাটিয়ে গোমতীর চরে সোনালি হাসি

বন্যা ও খরা কাটিয়ে কুমিল্লার গোমতী নদীর চরে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ধানের সোনালি হাসি। আউশ মৌসুমে বিনাধান-১৯ ও বিনাধান-২১ জাত চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষক। চলছে ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। পতিত জমিতে বাড়তি ফসল পেয়ে খুশি কৃষক। কুমিল্লার আদর্শ সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও দাউদকান্দির চরের শতাধিক বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করা হয়। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) সূত্রমতে, কম সময়ে উৎপাদিত খরাসহিষ্ণু বিনা-১৯ ও বিনা-২১ জাতের ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক। এবার গোমতী নদীর চরসহ কুমিল্লার ১৭ উপজেলার আট শতাধিক বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাষ হয়েছে বুড়িচং উপজলোর গোমতীর চরে। উপজেলার এতবারপুর গ্রামের নদীর চরে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ধান পাঁচ দিন ডুবে ছিল। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি হয়নি। খরা ও বন্যা কাটিয়ে বিনাধান-১৯ ও বিনাধান-২১ এর ভালো ফলন হয়েছে। এতবারপুরের চরের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২৫ বিঘা জমিতে বিনাধান-১৯ ও বিনাধান-২১ চাষ হয়েছে। মাঠে পাকা ধানের সুবাস। তীব্র গরম উপেক্ষা করে ধান কাটছেন কৃষকরা। পাশে জমিতেই ধান মেশিনে ছড়াচ্ছেন এক কৃষক। এই সময়ে ধান পেয়ে খুশি তারা। গরমেও কাজ করছেন খুশি মনে। এতবারপুরের কৃষক জসিম উদ্দিন ও নাজির আহমেদ বলেন, এই সময়ে চরের জমি খালি পড়ে থাকত। কেউ কেউ ধইঞ্চা চাষ করতেন জ¦ালানির জন্য। কারণ পানির ঢল ও খরায় ধান নষ্ট হয়ে যেত। এবার প্রথম আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বিনাধান-১৯ ও বিনাধান-২১ জাতের ধান চাষ করেছি। প্রথমে ঢলে পাঁচ দিন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে থাকায় আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। শেষ দিকে এলো খরা। তারপরও ভালো ফলন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর