ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকা দমনে দিনাজপুরে আলোকফাঁদ পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি কীটনাশকমুক্ত চাষাবাদে ফসলের জমিতে আলোকফাঁদ বসানো হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বসানো হচ্ছে এ ফাঁদ। এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমছে, আর ফসল থাকছে বিষমুক্ত। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আলোকফাঁদ স্থাপন ও তার ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক উপায়ে ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত এবং নিধনের লক্ষ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলার চার ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৩টি ব্লকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থাপন ও ব্যবহার সম্পর্কে অভিহিত করছেন। তাদের দেখে এখন প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাঠে কৃষকরা নিজেরাই আলোক ফাঁদ স্থাপন শুরু করেছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, আলোক ফাঁদ হচ্ছে ফসলের ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা মাকড় শনাক্ত করার পদ্ধতি। যা শনাক্ত করার পর কোনো ফসলে কী জাতের পোকা আক্রমণ করল, সেই অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।