বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শীতলক্ষ্যার তীরে বর্জ্যরে স্তূপ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

শীতলক্ষ্যার তীরে বর্জ্যরে স্তূপ

শীতলক্ষ্যা নদীর বরমী নৌঘাটে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যার তীর বরমী নৌঘাটে তৈরি হয়েছে বর্জ্যরে স্তূপ। ময়লার স্তূপ থেকে উৎকট দুর্গন্ধে যেমন নদী পারাপারে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে শীতলক্ষ্যার পানি। দীর্ঘদিন ধরে লোকজন ভোগান্তি পোহালেও এর সমাধান নেই যেন কারও কাছে। স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুরের নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র বরমী বাজার। প্রাচীনতম এ বাজার ঘিরে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে অবাদে বহুতল ভবন গড়ে উঠারও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের ও বাসাবাড়ির গৃহস্থালি ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকের বর্জ্য শীতলক্ষ্যার তীরে নৌঘাট ঘেঁষে ফেলা হচ্ছে। এতে তৈরি হয়েছে ভাগাড়। বর্জ্যরে কারণে নদীর পানির দূষণ বেড়েছে কয়েক গুণ। আবর্জনার কারণে সরকারিভাবে নির্মিত নৌঘাটের ব্যবহার দিন দিন সীমিত হয়ে পড়ছে। এই নৌঘাটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশত নৌযান চলাচল করে। পণ্য আনা-নেওয়াসহ কয়েক হাজার যাত্রী এই নৌপথ ব্যবহার করেন। প্রতি হাটবার (বুধবার) এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় কয়েক গুণ। বরমী নৌঘাটের ইজারাদার তৌফিক মিয়া বলেন, সরকার নৌযাত্রীদের কথা বিবেচনায় অনেক টাকা খরচ করে তিনটি ঘাট নির্মাণ করেছেন। শৌচাগার, যাত্রী ছাউনিও তৈরি করে দিয়েছে। তবে মূল সমস্যা হচ্ছে বর্জ্য ঘিরে। পচা, মরা প্রাণী ও নানা প্রকার প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর বস্তু নৌঘাট ঘিরে ফেলায় এখন তা স্তূপে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে এই ঘাটে টেকা দায়। আমাদের দাবি, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ বর্জ্য এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক। বরমী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবরিনা আক্তার বলেন, তার বাড়ি কাপাসিয়ার রায়েদ এলাকায়। প্রতিদিন তাকে নদীর ঘাট ব্যবহার করতে হয়। বর্জ্যরে দুর্গন্ধে নাক চেপে পারাপার করতে হয়। বরমী বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সরকার বলেন, আশপাশে কোথাও ময়লা-আবর্জনা রাখার স্থান না থাকায় বহুদিন ধরেই বর্জ্য নদীর পাশেই ফেলা হচ্ছে। আমরা কয়েকবার সতর্ক করলেও কেউ শুনছেন না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক হাসান ইউসুফ খান বলেন, এভাবে নদীতে বর্র্জ্য ফেলা ফৌজদারী অপরাধ। জেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় বিষয়টি তোলা হলেও কেউ নজর দেননি। শ্রীপুরের ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে বাজারের ইজারাদারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর