সখীপুরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক সংকট। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার বেতুয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, সেখানে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণিতে ১৪৩ জন শিক্ষার্র্থী রয়েছে। এক বছর হয়েছে প্রধান শিক্ষক অবসরে গেছেন। একজন শিক্ষক টাঙ্গাইল ‘পিটিআই’-এ প্রশিক্ষণে আছেন। সিনিয়র শিক্ষক নাসিমা আক্তার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে মাঝেমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। তখন ছয়টি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান মেটাতে হয় মাত্র দুজন শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় এভাবে নানা জটিলতায় ভুগছে উপজেলার আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাসিমা আক্তার বলেন, ক্লাস ও অফিশিয়াল কাজ একসঙ্গে করা যায় না যে কারণে জটিলতার মধ্যে আছি। অসুস্থ ছাড়া পারিবারিক প্রয়োজনে শিক্ষকরা ছুটিও নিতে পারি না।
উপজেলার পাটজাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের মিয়া জানান, ২০১০ সালে যখন স্কুলটি রেজিস্ট্রিকৃত তখন থেকে আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। দুঃখের বিষয় আমিসহ সখীপুরের আরও সাতজন শিক্ষক এখনো প্রধান শিক্ষক হতে পারিনি। প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমাদের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাফিউল করিম বলেন, সরাসরি আর প্রমোশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। প্রধান শিক্ষক হওয়া নিয়ে এই উপজেলার সাতটি স্কুলে মামলা চলছে। এই মামলা শেষ হলে এবং সরকারিভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হলেই সংকট থাকবে না।