রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সড়কের পাশে পশুহাট চলাচলে দুর্ভোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সড়কের পাশে পশুহাট চলাচলে দুর্ভোগ

সড়কে যানবাহন রেখে ওঠানামা করানো হয় গরু

প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে চলছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগরে অস্থায়ী পশুহাট। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের একাংশ জুড়ে প্রতি বুধবার দিনব্যাপী চলে এই হাট। ৫০-১০০ টাকা করে রশিদের মাধ্যমে খাজনা আদায় করেন হাট কর্তৃপক্ষ। অবৈধভাবে হাট চলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাট কমিটির সদস্যরা। পশুর হাটের বিষয়ে কিছুই জানে না উপজেলা প্রশাসন। মহাসড়কের একাংশ জুড়ে হাটের কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহন। বুধবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের আলাউদ্দিন নগর এলাকার ফাঁকা মাঠে বসেছে গরুর হাট। পশু আনা-নেওয়ার পরিবহনগুলো রাখা হয়েছে সড়কের উত্তর পাশের একাংশ জুড়ে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। হাটের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পশু ও লোক সমাগম। চলছে বেচাকেনাও। অস্থায়ী পশুহাটের রশিদ প্রদানের মাধ্যমে চলে বিকিকিনি। পশু প্রতি ৫০-১০০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে রেলওয়ের প্রায় ১ একর জমি কৃষিকাজে ব্যবহারের কথা বলে চলছে আলাউদ্দিন নগর পশুহাট। গত বছর ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি প্রায় ৮০ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। রেলের জমিতে কৃষি কাজের পরিবর্তে পশুহাট বসানোয় গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাটটি বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত ৩ অক্টোবর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নতুন স্থানে হাট বসানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জানা যায়, প্রশাসন হাটের অনুমতি না দিলেও বুধবার দিনব্যাপী চলেছে পশুহাট। আলাউদ্দিন নগর সাপ্তাহিক পশুহাটের সভাপতি হামিনুর রহমান বলেন, ‘হাটের এখনো অনুমতি পাইনি। হাট বসেছে, বেচাকেনাও হয়েছে। কিন্তু খাজনা নেওয়া হয়নি। চেয়ারম্যানর সঙ্গে কথা বলেন। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যেই অনুমতি পেয়ে যাব। এ বিষয়ে জানতে নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কুমারখালী সপ্তাহিক হাট কমিটির সদস্য এস এম রফিক বলেন, বুধবার আমাদের হাট চলত। অনুমতি না থাকায় তা বন্ধ রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর