রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

৬ কিমি যেতে ঘুরতে হয় ১৪ কিলোমিটার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

৬ কিমি যেতে ঘুরতে হয় ১৪ কিলোমিটার

সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে সিঙ্গিমারী নদী পারাপার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী নদীতে সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে ৩৫ গ্রামের মানুষকে। ভারী পণ্য নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হলে অতিরিক্ত আট ১৪ কিলোমিটার সড়ক ঘুরতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী সেতুর দাবি করে এলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। জানা যায়, সিঙ্গিমারী নদীর পশ্চিম অংশে কুচলিবাড়ি গ্রাম, কলসিরমুখ বিজিবি ক্যাম্প, মেম্বারের বাড়ি, রুমিটারী, দয়ালেরটারী, তেইলেনটারী, ভোদলোটারী, ডাঙাপাড়া, ললিতারহাট, কলসিরমুখ, গিরিয়ারপাড়, লালস্কুল, দৌলতপুর গ্রাম দরগারপাড়সহ পূর্বপাড়ে জোংড়া ইউনিয়নের মোমিনপুর, আলাউদ্দিন নগর, কবরস্থান বাজার, শিমুলতাসহ ৩৫টি গ্রাম রয়েছে। পূর্ব অংশে জোংড়া ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রাম হয়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়ক। প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে বাঁশের সাঁকো পারাপার হচ্ছেন। সরেজমিন দেখা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামের বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সাঁকো। এটিও নড়বড়ে হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে নদী পানিতে ভরে গেলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। এ ছাড়া বন্যার সময় সাঁকো দিয়ে চলাচলে বেশি ঝুঁকি দেখা দিলে নৌকায় চলাচল করেন লোকজন। পাটগ্রাম আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন জানান, নদীর ওপারের অনেক শিক্ষার্থী পাটগ্রাম শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে লেখাপড়া করে। নদীতে সেতু না থাকায় বর্ষাকালে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না। কুচলিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, গ্রামের লোকজন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্যোগে সাঁকোটি তৈরি করা হয়। অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। জোংড়া ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর গ্রামের কৃষক হাফিজার রহমান বলেন, সাঁকোটি হয়ে পাটগ্রাম উপজেলায় যেতে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়।

ধান, ভুট্টা, তামাক বা অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে যাওয়া যায় না। এ কারণে ৬ কিলোমিটারের রাস্তা ১৪ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা শহরের হাটবাজারে নিতে হয়। এতে কৃষিপণ্য নিতে খরচ বেড়ে যায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম বলেন, সিঙ্গিমারী নদীতে সেতু তৈরির জন্য সাঁকোর স্থানের মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর