মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

মেঘনায় বিলীন গ্রামের পর গ্রাম

প্রকল্পের কাজ বন্ধে আতঙ্কে মানুষ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

মেঘনায় বিলীন গ্রামের পর গ্রাম

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে আবারও ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বড় অংশে নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন। নদীতীর রক্ষাবাঁধে সরকারের ৩১০০ কোটি টাকার কাজও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এতে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বালু সংকট আর প্রবল স্রোতকে দায়ী করছেন। সরেজমিন দেখা যায়, মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়েছে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বড় অংশ। হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবই চলে গেছে নদীর পেটে। কয়েক বছরের অব্যাহত ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন দুই উপজেলার হাজার হাজার বাসিন্দা। এ অবস্থায় গত বছর ৩১ কিলোমিটার নদী তীররক্ষা বাঁধের জন্য সরকার ৩১০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি কাজও শুরু হয়। শুরুতে কিছু জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হলেও এখন বন্ধ রয়েছে প্রকল্পের কাজ। এতে এবারের বর্ষায় আবার ভাঙনের কবলে পড়েন নদীপাড়ের মানুষ। নতুন নতুন এলাকার শত শত হেক্টর ফসলি জমি, স্কুল-মাদরাসা, হাটবাজার ও বসতভিটা হারিয়ে যাচ্ছে নদীতে। কমলনগরের চরফলকন এলাকার লাইজু আক্তার জানান, নিজের সহায়-সম্বল ও শেষ আশ্রয় ভিটামাটি হারিয়েছেন তিনি। তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে শেষমেষ নদীর তীরে ঝুপড়ি ঘরে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তিন সন্তান নিয়ে। ওই ঘরটিও এখন ভাঙনের মুখে। ভাঙনের শিকার লাইজু ও তার প্রতিবেশী আবি আবদুল্লাহসহ অসহায় মানুষ ভাঙনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে সরকারি সহায়তা দাবি করেন।

সর্বশেষ খবর