কুমিল্লার চান্দিনায় শ্বশুরবাড়িতে জামাতাকে শিকল বেঁধে আটকে রেখে মারধরের পর জনি (২৬) নামে যুবকের লাশ মিলল পাশের গ্রামের একটি পুকুরে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গতকাল চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কুটুম্বপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আরমান হোসেন জনির লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জামাতা আরমান হোসেন জনি পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের গাংচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় পিকআপ চালক। নিহতের পিতা মজিবুর রহমান জানান, গত ৬ মাস আগে ছেলেকে চান্দিনা উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে বিয়ে  দেই। শিল্পী আক্তার আগে বিবাহিতা ও এক সন্তানের জননী। বিয়ের পরও শিল্পী তার আগের স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ১০ দিন আগে আমার পুত্রবধূ তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে।