মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

সিমা হত্যার বিচার দাবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে সিমা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল দুুপুরে সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের পিতা সাহজুল ইসলাম, মাতা আম্মবিয়া খাতুন, দাদি সামিরোন খাতুন, বোন রিতা খাতুন, চাচি রাবিয়া খাতুন, প্রতিবেশী নেকবার হুজুর, প্রতিবেশী রোকিয়া খাতুন ও প্রতিবেশী চম্পা খাতুন প্রমুখ। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে স্বামী ও তার পরিবার। জানা যায়, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামের সাহাজুল ইসলামের মেয়ে সিমা খাতুনের সঙ্গে একই জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন কাশিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান সজলের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর ২ মাস পার হওয়ার পর এসে যায় পৌর নির্বাচন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে অংশগ্রহণ করে সজল। এরপর নির্বাচনে খরচ বাবদ স্ত্রী সিমাকে তার পিতার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আনতে বলে স্বামী সজল।

 পিতা টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে বাড়ি রেখে দেয়। নির্বাচনে জয়লাভ করে সজল। পিতা অসুস্থতার অজুহাতে মাইক্রো পাঠিয়ে স্ত্রী সিমা খাতুনকে বাড়িতে ফেরত আনে স্বামী সজল। ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে স্ত্রী সিমাকে চড়-থাপ্পড় মেরে গলা টিপে হত্যা করে। প্রচার করতে থাকে শাড়ি কেটে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ গিয়েও নিহত সিমা খাতুনের মরদেহ বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রহিম মোল্লা জানান, প্রাথমিক ভাবে ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এদিকে নিহতের পিতা-মাতা ও গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে সিমা খাতুনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালিয়েছে স্বামী ও তার পরিবার। ওই সময় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ ধমকি মারে ও থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে আদালতের সরণাপন্ন হয় এবং সজলকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা করেছি। এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত করে দোষীদের ফাঁসির দাবি জানান তারা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর