মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

২৪ মাস ধরে স্কুলের প্রবেশপথে হাঁটুপানি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

২৪ মাস ধরে স্কুলের প্রবেশপথে হাঁটুপানি

গত দুই বছর ধরে দুটি স্কুলের প্রবেশ পথে ময়লা পানি জমে রয়েছে। তাও হাঁটুসমান!  ময়লাযুক্ত এ পানিতে পা ডুবিয়ে প্রতিদিন দুটি স্কুলের প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে যেতে হচ্ছে বিদ্যালয়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। জলাবদ্ধতা সমস্যায় দুটি স্কুলেই ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থী। জমে থাকা পানির নিচে গর্তে পড়ে আহতও হয়েছেন বহু শিক্ষার্থী। ভোগান্তির শিকার স্কুল দুটি হলো ফতুল্লার সেহারচর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ও ফতুল্লা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়। দুটি স্কুলেরই প্রবেশপথ এক। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, সেহারচর সরকারি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৪৩৮ জন এবং ফতুল্লা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ২ হাজার ৬০০ জনসহ শিক্ষার্থী মোট ৪ হাজার ৩৮ জন। সেহারচর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২০০ এবং ফতুল্লা পাইলট বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২০০ জন ছিল। এখন কমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ১ হাজার ৪৩৮ এবং ২ হাজার ৬০০।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও কমে যাবে। ভোগান্তির বিষয়ে পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী বিনতে কাফি কামনা জানান, আমরা গত দুই বছর ধরে এ ময়লা পানি মাড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি। পায়ে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। সেহারচর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন জানান, সারা বছরই পানি জমে থাকে। স্যার আর আমরা কতবার স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে সমাধান চেয়েছি। কিছুই হচ্ছে না। এ বিষয়ে সেহারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘মাঝে-মধ্যে রাস্তার পানি এত বেশি থাকে যে আমাদের ভ্যানে যাতায়াত করা ছাড়া উপায় থাকে না। সমস্যা শুধু আমাদের না। পাশে একটি হাইস্কুল রয়েছে। তাদেরও একই অবস্থা চলছে।  ফতুল্লা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, কী যে করব বুঝতে পারছি না। চেয়ার‌্যমান-মেম্বার সবাইকে জানালাম। কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা দুর্র্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন জানান, এভাবে জলাবদ্ধতার মূল কারণ পাশে নারায়ণগঞ্জ কমলাপুর ডাবল রেললাইন নির্মাণকাজ চলছে। এতে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে রেললাইন নির্মাণ সেক্টরের সঙ্গে আলোচনায় বসে দেখি কী করা যায়।

সর্বশেষ খবর