হবিগঞ্জ বাইপাস সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা। আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এ সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা পড়েন বেশি বিপাকে। কামড়াপুর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে হবিগঞ্জ নতুন বাসস্ট্যান্ডে আসা যাত্রীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। অনেককে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় রুমাল দিয়ে নাক-মুখ বন্ধ করে রাখতে দেখা গেছে। দিন দিন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে জনজীবন। হবিগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে- দীর্ঘদিন ধরে ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকায় এমন হয়েছে। শিগগিরই এ সংকট দূর করা হবে। জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের পুবদিকে বাইপাস সড়কসংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ, কিবরিয়া পৌর মিলনায়তন, হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম, হবিগঞ্জ কোর্ট প্রাঙ্গণ ও আনসার একাডেমি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া রাজনগর এতিমখানাসহ রয়েছে আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি। বাইপাস সড়কের কিবরিয়া মিলনায়তনের পেছন দিকে দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পুরো বাইপাস সড়কটি পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। দুর্গন্ধে এলাকার লোকজনের মধ্যে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ-জীবাণু। হবিগঞ্জবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনট প্রত্যাশা সবার। সরেজমিন দেখা যায়, পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য ছোট ছোট ভ্যান ও কাভার্ড ভ্যানে এনে বাইপাস সড়কে ফেলা হচ্ছে। ময়লার পরিমাণ এতটাই বেশি যে সড়কের পাশে খাল ভরাট হয়ে রাস্তা পর্যন্ত চলে এসেছে। এ কারণে যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। নিউফিল্ড মাঠে চলা শিল্প পণ্য মেলায় আসা দর্শনার্থী লিপি আক্তার বলেন, মেলায় এসেছিলাম কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। বাইপাস সড়ক দিয়ে আসার সময় রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকেও দুর্গন্ধ থেকে বাঁচা যায়নি। কলেজছাত্রী রুমা আক্তার জানান, বাইপাস সড়কের ময়লার স্তূপ আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে-তো চলা যায়-ই না যানবাহন দিয়ে চলাচল করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংকট দূর হবে। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।
স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনের জন্য রিচি ইউনিয়নে জায়গা কেনা হয়েছে। শহরের বর্তমান ময়লা স্থানান্তরের জন্য অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করতে মির্জাপুরে প্রায় ১৬০ শতক জায়গা কেনা হয়েছে। ওই জায়গার চারপাশে দেয়াল তৈরির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যে অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে ময়লা ফেলা যাবে। তিনি পরিবেশবাদী সরকারি-বেসরকারি সংগঠনসহ এ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনের আহ্বান জানান।