দুই দশক আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঘরে ঘরে দেখা মিলতো ভেড়ার লোমের কম্বল। কালের আবর্তে এবং পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে জেলার ঐতিহ্যবাহী ভেড়ার লোমের কম্বল। পণ্য তৈরির পর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এই শিল্প থেকে সরে গেছেন কারিগররা। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা মহল্লার ষাটোর্ধ্ব আবদুল খালেক শুধু ভেড়ার লোম দিয়ে কম্বল তৈরি করছেন। তিনি বলেন, বংশ পরম্পরায় ভেড়ার লোম দিয়ে কম্বল তৈরি করে আসছেন তিনি। বিশেষ ধরনের কাঁচি দিয়ে কেটে নেওয়া হয় ভেড়ার পশম। এরপর একই রঙের পশম বাছাই শেষে পরিষ্কার করে শুকানো হয়। পরে তা ধুনাই করে বানানো হয় তুলা। সেই তুলা চরকায় কেটে সুতা তৈরির পর হস্তচালিত তাঁতে বোনা হয় কম্বল। তিনি বলেন, শুধু কম্বলই নয় নামাজের বিছানা, মাফলার, ওয়ালমেটসহ বেশকিছু পণ্য তৈরি করা হয় ভোড়ার লোম দিয়ে। তার তৈরি কম্বল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি করেন সারা দেশে। খালেক বলেন, বর্তমানে লাভজনক না হওয়ায় হারিয়ে গেছে ভেড়ার লোমের কম্বল তৈরির সব কারিগর। স্থানীয় বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রায়হান আলী বলেন, এই শিল্প বাঁচাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প নতুনদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন তিনি।