হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বেড়েই চলছে মোটরসাইকেল চুরি। দিনে অথবা রাতে ২৪ ঘণ্টাই চলছে চোর সিন্ডিকেটের কার্যক্রম। গেল এক বছরে জেলায় প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ শহর থেকেই সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রভাবশালী মহলের নাম মাত্র কয়েকটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করলেও সিংহভাগের মিলে না কোনো হদিস। ফলে চোর সিন্ডিকেট রুখতে কিংবা মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে জেলা পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এদিকে এখন শুধু বাসা বাড়ি কিংবা হাসপাতাল এলাকা নয় খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও থানা এলাকা থেকেও চুরির ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলার মোটরসাইকেল চালকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক বছরের হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলো থেকেই অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলায়ও একইভাবে প্রতিনিয়ত বাসা-বাড়ি থেকে রাতের আধারে গ্রিল কেটে কিংবা দিনেদুপুরে মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের মালিকদের মধ্যে কেউ কেউ থানায় অভিযোগ দিলেও সাইকেল উদ্ধারে তৎপরতা না থাকায় অথবা পুলিশের আন্তরিক মনোভাব না থাকায় বেশির ভাগই কোনো অভিযোগ দাখিল করেন না। যার ফলে সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে চোরেরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, এক বছরে ১০টি মোটরসাইকেল ও ১০টি গাড়ি চুরির মামলা হয়েছে। এরমধ্যে আটটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে। চোর ধরতে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।