গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাল সনদে হচ্ছে বাল্যবিবাহ। জন্মসনদে কম্পিউটার দোকান থেকে বয়স বাড়িয়ে কিছু অসৎ কাজী এসব বিবাহে পড়ায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকান থেকে জন্মসনদে বয়স বাড়িয়ে থাকে। আর এই সনদকে অভিভাবকরা বড় প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগিয়ে কিশোরীদের বিবাহের পিঁড়িতে বসাচ্ছেন। বিবাহের কিছুদিন পর বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের কোনো তৎপরতা না থাকায় প্রতিনিয়তই বাল্যবিবাহ হচ্ছে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, অনেকেই নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ করিয়ে থাকেন। এসব বিয়ে বন্ধ করা দরকার।উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাশ্মীর সুলতানা জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধের দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডা. আল বেলাল জানান, অল্প বয়সে মা হতে গেলে মা ও নবজাতক দুজনেরই মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। বয়স না হওয়ায় সংসার জীবনেও টিকে না।
ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, বাল্যবিবাহ বন্ধের বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে।