কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নীতিমালা লঙ্ঘন করে আবাসিক এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৪৮টি ইটভাটার অধিকাংশ স্থাপন করা হয়েছে কৃষিজমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায়। এসব ভাটার জন্য কৃষিজমির টপ সয়েল কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে হাজার হাজার একর জমি পতিত হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভাটার ধোঁয়া ও ধুলায় পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিরহাট সড়কের পাশে মেষতলার জনবহুল এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েকটি ইটভাটা। এর মধ্যে ভাই ভাই-১ এবং ভাই ভাই-২, মালেক ব্রিকসসহ কয়েকটি ইটভাটা ওই এলাকার পরিবেশ এবং জনজীবন বিষিয়ে তুলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ইট প্রস্তুতকারক সমিতির তথ্যানুযায়ী- এ উপজেলায় মোট ৪৮টি ইটভাটা রয়েছে। ১০টি ভাটার হালনাগাদ কাগজপত্র নেই। এর মধ্যে কয়েকটি ভাটার কোনো প্রকার কাগজপত্র নেই। মেষতলা এলাকার সবকটি ইটভাটাসহ পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এমন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর। ভাই ভাই নামে দুটি ভাটার মালিক আবদুল হান্নান বলেন, জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স নিয়ে আমি জিগজাগ ভাটায় ইট প্রস্তুত করছি, এখানে পরিবেশ কিংবা জনস্বস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করি না।
মালেক ব্রিকসের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করছি না।চৌদ্দগ্রাম ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের উপজেলায় হাতে গোনা কয়েকটি ভাটা ছাড়া সবকটিরই লাইসেন্স এবং পরিবেশের ছাড়পত্র আছে। পরিবেশ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাব্বির হোসেন বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তারপরও সুনির্দিষ্ট কোনো ভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।