শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোররাতে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ওএমএস পণ্য

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ভোররাতে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ওএমএস পণ্য

শেষরাতে ওএমএসের পণ্য নিতে আসা নারীরা

কনকনে শীতের মধ্যে ওএমএসের চাল-আটা নিতে মেহেরপুরের মানুষ ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। এভাবে ৫-৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও চাল আটা পাচ্ছেন না অনেকে। শীতে এ কষ্ট আর পণ্য পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। সরকারি এ কার্যক্রম দেখভালের জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ থাকলেও নেই কোনো তদারকি। খাদ্য অধিদফতর বলছে, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মেহেরপুর শহরে ৯ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন পাঁচ টন চাল এবং পাঁচ টন আটা বিক্রির বরাদ্দ রয়েছে। ডিলারদের অনিয়মের কারণে অনেকে ফিরে যেতে হচ্ছে খালিহাতে। ভোররাত থেকে নারী-পুরুষ ডিলারদের ঘরের সামনে ব্যাগ ও ইট রেখে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকে শীতে জড়োসড়ো হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন চাল-আটা পাওয়ার আশায়। সকাল হলে লাইনের কিছু মানুষকে খাদ্যশষ্য দিয়ে বলা হচ্ছে বরাদ্দ শেষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডিলারদের অনেকেই ওজনে কম দিচ্ছেন। ডিলাররা অধিক মুনাফা করতে চাল-আটা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন। সরকারি এ কার্যক্রম তদারকির জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ থাকলেও তাদের কোনো তদারকি নেই। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল-আটা পাওয়া যায় না। ডিলারের লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের বাদ দিয়ে তাদের পছন্দের লোকজনকে পণ্য দিচ্ছেন। ডিলাররা বলেন, বরাদ্দ অনুযায়ী সবাইকে চাল ও আটা দেওয়া হয়। বর্তমানে বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই ফিরে যেতে হয়। কাউকে কম দেওয়া হয় না। বরাদ্দ কম তাই সবাই যাতে পান এ জন্য অনেক সময় তিন কেজি করে দেওয়া হয়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, কোনো ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর