সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

ফরিদপুরে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে খাদ বানিয়ে ট্রাকে করে মাটি নেওয়া হচ্ছে ইটের ভাটায়। এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ কৃষকেরা মাটি কাটার একটি বেকু মেশিন আটকের পর জমি থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তবে ইটভাটার মালিক দাবি করেছেন, ফরিদপুরের এসি ল্যান্ড অফিস থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে তাদের মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মাটি কাটতে দিচ্ছে না একটি মহল। অপরদিকে এসি ল্যান্ড কর্মকর্তা বলছেন, ওই গ্রামে তদন্তে যাওয়া বা মাটি কাটার অনুমতি দেওয়ার কোনো তথ্য তার জানা নেই। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ব্যবসা ও বাণিজ্য শাখা হতে সেখানে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নরসিংহদিয়া গ্রামের ফসলি মাঠে খেতের জমি নষ্ট করে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শতাধিক কৃষক তাদের জীবিকার অবলম্বন নিয়ে শঙ্কিত। বৃহত্তর ফরিদপুর সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প (চতুর্থ পর্যায়) এর আওতায় নরসিংহদিয়া গ্রামের ওই জমিতে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিএডিসি ২ কিউসেক গভীর নলকূপ সেচ স্কিমে ৩০০ মিটার ভূগর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ করেছে। জানা গেছে, ‘কানাইপুর অটো ব্রিক’ নামে একটি ইটভাটার জন্য এই মাটি কাটা হচ্ছে। ভুয়ারকান্দি গ্রামের মৃত হাশেম শেখের স্ত্রী বিধবা ফাতেমা বেগমের ১২০ শতাংশ জমি থেকে মাটি কাটার জন্য ১০ হাজার টাকা অগ্রিমে চুক্তি করেছেন ভাটা মালিক আবুল বাশার। ফাতেমা বেগম বলেন, প্রতি ট্রাক মাটি ৩৪০ টাকা কইর‌্যা বেচছি।’ বিএডিসির সেচ প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, আমরা তাদের এভাবে মাটি কাটতে নিষেধ করেছি। ডিসি অফিস, ভূমি অফিস ও ইউএনও অফিসকেও জানিয়েছি এ ব্যাপারে, যেন মাটি কাটা না হয়। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত আবুল বাশার  অভিযোগ করে বলেন, ‘সেখানে যারা বাধা দিচ্ছে তাদের কারোরই জমি নাই। তারা চাঁদা চেয়েছিল। দেইনি বলে বাধা দিচ্ছে।’ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার জানা মতে সেখানে কাউকে মাটি কেটে পুকুর তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়নি। ইটভাটার মালিকেরা মাটি কাটার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে।’ বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর